বিস্কুটে মানবস্বাস্থ্যের জন্যে ক্ষতিকর রাসায়নিক অ্যামোনিয়া ব্যবহার করায় বনফুল অ্যান্ড কোম্পানিকে ১৫ লাখ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
শুক্রবার দুপুরে বনফুলের পটিয়া কারখানায় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ানের (র্যাব) সদর দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারওয়ার আলমের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়।
মো. সারওয়ার আলম বাংলানিউজকে জানান, বিস্কুট ও বেকারি পণ্যে অ্যামোনিয়া ব্যবহারের প্রমাণ পাওয়া গেছে। শুধু তাই নয়, বনফুলের কারখানা থেকে ৮৩ বস্তা অ্যামোনিয়া জব্দ করা হয়েছে। প্রতি বস্তায় ২৫ কেজি অ্যামোনিয়া রয়েছে। সেগুলো ধ্বংস করা হবে।
তিনি জানান, বনফুলের কারখানায় অত্যন্ত নোংরা পরিবেশে নিম্নমানের ডালডা দিয়ে লাচ্ছা সেমাই তৈরি হচ্ছে। পোড়া তেলে ডালডা মিশিয়ে একই তেলে বারবার লাচ্ছা সেমাই ভাজা হচ্ছিল।
খাদ্যপণ্যে মানবস্বাস্থ্যের জন্যে ক্ষতিকর অ্যামোনিয়া ব্যবহার এবং নোংরা পরিবেশে ডালডা দিয়ে পোড়া তেলে লাচ্ছা সেমাই তৈরির অপরাধে বনফুলকে ১৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে বলে জানান ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম।
এর আগের দিন বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারওয়ার আলম বাকলিয়ার চরচাক্তাই নয়া মসজিদ এলাকার হোসেন ফুড অ্যান্ড কোম্পানির কারখানায় হানা দেন।ওই কারখানা থেকে দুই মণ পচা মিষ্টি জব্দ করা হয়। এ ছাড়া নোংরা পরিবেশে পাম তেলে ভাজা নিম্নমানের লাচ্ছা সেমাই তৈরির অপরাধে কারখানার মালিক সুরুজ পালকে (৫৩) নিরাপদ খাদ্য আইন ২০১৩ এর ২৬ ধারা অনুযায়ী আট লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
মো. সারওয়ার আলম বাংলানিউজকে বলেন, এ কারখানায় উৎপাদিত নিম্নমানের লাচ্ছা সেমাই চকচকে মোড়কে ভরে সারা দেশে বাজারজাত করা হচ্ছে। ওই কারখানার পরিবেশ অত্যন্ত বাজে। পোকামাকড় কিলবিল করছে।
একই দিন চাক্তাই শেখ মোশারফ হোসেন সড়কের মোহসেন আউলিয়া অয়েল মিলে সরিষার তেলে রং মেশানোর দায়ে মালিক মো. রুবেল (২৭) ও মো. নয়নকে (৩০) ভোক্তা অধিকার আইন ২০০৯ এর ৪১ ও ৪৩ ধারায় ২ লাখ টাকা এবং শফিল অয়েল মিলের মালিক মো. করিমকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করেন তিনি।