॥ সেলিম আহমেদ চৌধুরী,বান্দরবান ॥ অপহরণের ১৩দিন পরও সন্ধান মেলেনি বান্দরবানে সন্ত্রাসীদের হাতে অপহৃত ্উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন সম্পাদক ও সাবেক ইউপি মেম্বার মংপু মারমার। তিনি গত ১৩ জুন রাতে বান্দরবান সদর উপজেলার জামছড়ি গ্রাম থেকে অপহৃত হন। তাকে অপহরণের প্রতিবাদ ও উদ্ধারের দাবিতে জেলা আওয়ামীলীগ প্রথমে ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দেয় ও পরে তিনদিন সড়ক ও নৌপথ অবেেরাধ কর্মসূচিও পালন করে। আওয়ামীলীগের উদ্যোগে প্রতিদিনই বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ হচ্ছে এ ঘটনায়। নিরাপত্তা বাহিনী ও পুলিশের বিশেষ অভিযান এখনও চলছে অপহৃত মংপুকে উদ্ধারের জন্যে। কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি
বান্দরবান জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি একে এম জাহাঙ্গীর জানান, আঞ্চলিক সংগঠন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (পিসিজেএসএস) সশস্ত্র গ্রুপের সদস্যরা তাকে অপহরণ করেছে। এ অপহরণের পেছনে পিসিজেএসএস নেতাদেরও ইন্ধন রয়েছে বলে দাবি করেন এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির শীর্ষ নেতাসহ ৩৮জন নেতাকর্মীকে আসামী করে অপহৃত মংপু মারমার স্বজনরা বাদী হয়ে সদর থানায় পৃথক ভাবে ৩টি মামলা করেছে। তবে এযাবত পুলিশ ২-৩ জনকে গ্রেফতার করেছে। তিনি বলেন, আগামীতে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। অপর দিকে,জেলা পিসিএসএস সভাপতি উচমং মার্মা বলেন, পিসিজেএসএস গণতান্ত্রিক আন্দোলনে বিশ্বাস করে। পিসিজেএসএস খুন, গুম, হত্যা, অপহরণ রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নয়। আ’লীগের আভ্যন্তরিন সমস্যা থেকে কেউ তাকে অপহরণ করতে পারে।
এদিকে, এ ঘটনায় হ্লামংচিং মার্মা বাদী হয়ে ৩৮ জনের নাম উল্লেখ্য করে সদর থানায় মামলা করেন। এজাহারভুক্ত নামের তালিকার মধ্যে রয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ সদস্য ও পিসিজেএসএস নেতা কে এস মং, সাধুরাম ত্রিপুরা মিল্টন, রোয়াংছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান ক্যবামং মার্মা, জেলা পিসিজেএসএস সভাপতি উছোমং মার্মা, মংপু হেডম্যান (মৌজা প্রধান), পিসিজেএসএসের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক জলিমং মার্মা, নোয়াপতং ইউপি চেয়ারম্যান অংথোয়াইচিং মার্মা, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শম্ভু কুমার তঞ্চঙ্গ্যা, পিসিজেএসএস নেতা, এস মং ওরপে বিপুল চাকমা, শৈখ্যাইচিং মার্মা, মেহ্লাচিং মার্মা, সাচিংনু মার্মা, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ নেতা নিত্যলাল চাকমা, অজিত চাকমা প্রমুখ।
সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা রফিক উল্লাহ জানান, অপহৃত মংপু মারমাকে উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এজহারভুক্ত আসামাীদেরও গ্রেফতার করা হবে। পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা স্থানীয়দের সহায়তায় সম্ভাব্য এলাকাসমুহে অভিযান অব্যাহত রেখেছে বলেও পুলিশ সুত্র দাবি করেছে।