॥ রাহুল বড়–য়া ছোটন, বান্দরবান॥ বান্দরবানে শিশু কল্যাণ বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শিশু আইন ২০১৩ এর আলোকে গঠিত, জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ত্ব করেন জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিক। অন্যান্যদের মধ্যে সহকারী পুলিশ সুপার রাশেদুল হক চৌধুরী, জেল সুপার মামুনুল করিম, জেলা তথ্য অফিসার উষামং চৌধুরী, জেলা সংগঠক শিলাদিত্য মুৎসুদ্দি, সহ সরকারি বেসরকারি সংস্থার বিভিন্ন প্রতিনিধিবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় সহকারী পুলিশ সুপার বলেন, দেশের প্রতিটি থানায় বর্তমানে শিশু বান্ধব পুলিশ অফিসার রয়েছে। কোন থানা/ হাজতে শিশু কিশোর আটক থাকেনা। আইনের আশ্রয়ে কোন শিশু আটক হলে তাৎক্ষণিকভাবে সমাজসেবা অফিসারকে অবহিত করা হচ্ছে। শিশু সুরক্ষা বিষয়ে বর্তমানে পুুলিশ প্রশাসন অনেক সচেতন। সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফিরোজ আহম্মদ বলেন শিক্ষা অধিদপ্তরের মাধ্যমে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের ভর্তির উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
ভারপ্রাপ্ত জেলা শিশু সংগঠক বলেন শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ, বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে ইতোমধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করা হচ্ছে। জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় শিশু একাডেমীর মাধ্যমে ইতোমধ্যে ৫টি বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ করা হয়েছে এবং উক্ত শিশুদের পুনরায় শিক্ষা কার্যক্রমের আওতাভুক্ত করা হয়েছে। উপপরিচালক সমাজসেবা অধিদপ্তর কিরণ শংকর বিশ্বাস বলেন, সমাজসেবা অধিদফতরাধীন বান্দরবান পার্বত্য জেলার সকল উপজেলায় ইতোমধ্যে উপজেলা শিশু কল্যাণ বোর্ড গঠিত হয়েছে এবং সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। তিনি উপজেলা শিশু কল্যাণ বোর্ড সমূহ থেকে প্রাপ্ত সুপারিশ সমূহ সভায় উপস্থাপন করেন।
সভাপতি তার বক্তব্যে বলেন শিশুরা অপরাধ করতে পারে কিন্তু সংশোধনের দায়িত্ব আমাদের। শিশুশ্রম বন্ধ করা একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। তিনি বলেন জন্মের ৪৫দিনের মধ্যে শিশুর জন্ম নিবন্ধন নিশ্চিত করতে হবে যা না হলে রাষ্ট্রীয় আইন অমান্য করা হবে। সকল শিশুর শিক্ষা গ্রহণ বাধ্যতামূলক। প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণে সকল শিশুকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। তিনি আরো বলেন বিভিন্ন সময় বিজ্ঞ আদালত ও থানার মাধ্যমে শিশুর জামিন প্রদানের জন্য যোগ্য ব্যক্তির প্রয়োজন হয়, তিনি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সমাজসেবীদের মধ্য হতে আগ্রহী ব্যক্তিদের একটি তালিকা প্রণয়ণ করা যেতে পারে।