বিশ্বখ্যাত ‘মসলিন’ কাপড় তৈরির প্রযুক্তি পুনরুদ্ধারে প্রকল্প গ্রহণ করতে যাচ্ছে সরকার। বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে।
‘বস্ত্র শিল্পে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী মসলিন প্রযুক্তি পুনরুদ্ধারে করণীয়’ বিষয়ক সভায় রোববার (১২ জুন) একথা জানান বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম। সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রতিমন্ত্রী।
প্রযুক্তি পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড এ প্রকল্প গ্রহণ করতে যাচ্ছে জানিয়ে মির্জা আজম বলেন, তাঁতি সমাজকে পুর্নবাসন করে তাদের সমৃদ্ধ করা হবে। তাঁত বস্ত্রের উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে তাঁতিদের আয় বৃদ্ধি করা হবে।
প্রতিমন্ত্রী জানান, দরিদ্র প্রান্তিক তাঁতিদের আত্মকর্মসংস্থান ও জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সহায়তা করছে সরকার।
বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা সৈকত চন্দ্র হালদার জানান, আগে ৯ কোটি টাকার একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হলেও অর্থের পরিমাণ কম ছিল। এবার প্রায় ১৪ কোটি টাকার এ প্রকল্প গ্রহণ করে তা অনুমোদনের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। খুব দ্রুতই তা বাস্তবায়ন করা হবে।
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব এম এ কাদের সরকার, যুগ্ম সচিব রেজাউল কাদের ও আবু ছাইদ শেখ, তাঁত বোর্ডের চেয়ারম্যান জসীম উদ্দিন আহম্মেদসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
সভায় জানানো হয়, গত ২ জুন ৩৭১ জন তাঁতির মাঝে ১ কোটি ১৪ লাখ ১৫ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর ২০০৩ সালের তথ্য অনুযায়ী, তাঁত শিল্পে নিয়োজিত জনবলের সংখ্যা ১৫ লাখেরও বেশি। তাঁত শিল্পের মাধ্যমে বছরে ৬৮ কোটি ৭০ লাখ মিটার কাপড় উৎপাদিত হয়, যা দেশের মোট বস্ত্র চাহিদার ৪০ শতাংশ পূরণ করে থাকে।