॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ রাঙ্গামাটি বাজার ফান্ডের বিধি বর্হিভূত ভাবে খাজনা বর্ধিত করায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন রাঙ্গামাটি সচেতন মহল। গত ২০ জুন রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানকে প্রাক্তন পার্বত্য মন্ত্রী, সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সহ ৪৭ জন গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের স্বাক্ষরে এই পত্র প্রদান করা হয়েছে।
স্বাক্ষরিত আবেদনে বলা হয়, রাঙ্গামাটি শহরের কাপ্তাই বাঁদের উদ্বাস্তু প্রজা আমরা। সদাশয় সরকার দেশের এবং জনগনের স্বার্থে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন প্রজ্ঞাপন দ্বারা বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন প্রকারের কর যথা সালামী খাজনা ইত্যাদি নির্ধারণ করিয়া থাকেন। রাঙ্গামাটি বাজার ফান্ড প্রকাসন সরকারের একটি উন্নয়ন মুখী অভিন্ন সংস্থা। কিন্তু জনস্বার্থে তথা জনগনের সুযোগ সুবিধার কতা বিবেচনা না করে জনগনের অগোচরে এবং সাকারের পূর্বানুমতি ব্যতিরেখে জনগনের সংগতির দিক বিবেচনা না করে বাজার ফান্ড প্রশাসক ইতিমধ্যে জুলাই, ২০১৬ সাল হতে যে সালামী খাজনা ধার্য্য করেছেন তা বাতিল করে পূর্বের নির্ধারিত হারে সালামী খাজনা প্রদানের বিবেচনার জন্য আবেদন জানান।
উল্লেখ্য যে, রিজার্ভ বাজার, তবলছড়ি, ও বনরূপা বাজার অন্যুতম এবং বাজারগুলিতে নানা সমস্যা থাকা সত্বেও বাজার ফান্ড নামক সংস্থাটি এ পর্যন্ত খাজনা আদায় ব্যতিত এই বাজারের কোন উন্নয়নমুলক কাজ করে নাই। বাজার ফান্ডের আওতাভূক্ত আবাসিক এলাকার অবস্থাও অনুরূপ।
প্রসঙ্গত অত্র এলাকার বেশীর ভাগ লোকই কাপ্তাই বাঁধের ক্ষতিগ্রস্থ উদ্বাস্তু। অর্থ উপার্জনের জন্য কোন কলকারখানা, ইন্ডাষ্ট্রি নাই। ফসল উৎপাদনের জমি-জমাও নাই। বেশীর লোক সরকার কিংবা বেসরকারী চাকুরীজীবি। অত্যন্ত অসহায় অবস্থায় গরীব বিধায় বর্ধিত হারে সালামী খাজনা দিতে অক্ষম। আবাসিক বাসিন্দারা বহু কষ্টের মধ্যে মাটি সমান করে খাদ ভরাট করে পাহাড়ের ঢালুতে বসবাক করেছে বলে আবেদনে উল্লেখ করা হয়।
আবেদনে স্বাক্ষর করেছেন সাবেক পার্বত্য মন্ত্রী কল্প রঞ্জন চাকমা, সাবেক উপমন্ত্রী মনিস্বপন দেওয়ান, স্থানীয় সরকার পরিষদ সাবেক চেয়ারম্যান গৌতম দেওয়ান, জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মানিক লাল দেওয়ান, জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জগৎ জ্যোতি চাকমা, রাঙ্গামাটি পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান ডাঃ এ,কে, দেওয়ান, সাবেক পৌর চেয়ারম্যান কাজী নজরুল ইসলাম, সাবেক যুগ্ম সচিব দেবদত্ত খীসা, তবলছড়ি বাজার ব্যবসায়ী সভাপতি হাজী জহির আহম্মদ, জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য মোঃ মনিরুজ্জামান রান সহ অন্যান্য গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।