॥ শৈহ্লাচিং মারমা, রুমা ॥ বান্দরবানের রুমা উপজেলার রেমাক্রীপ্রাংসা ও রুমা সদর ইউনিয়নে দুর্গম পাড়াসমূহের বিভিন্ন সময়ে প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্থ গরীব ও দুস্থ পরিবারের মাঝে খাদ্যসংকট মোকাবেলা করতে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় গতকাল শনিবার(১১জুন) বিকালে ১১৯পরিবারের মাঝে চালসহ খাদ্যপন্য বিতরণ করেছে।
সূত্রমতে পরিবার প্রতি ২০কেজি চাল, এক কেজি ডাল, এককেজি তেল ও দুইশ গ্রাম শুটকি বিনামূল্যে বিতরণ রয়েছে। এসব খাদ্যসামগ্রি রুমা সদর থানা পাড়াস্থ খাদ্যগুদাম থেকে বিতরণ করা হয়। রুমা সদর ইউপি সচিব উবানু মার্মা জানান খাদ্যসংকট এলাকার তালিকাভূক্ত দুস্থ গরীবরা দুর্গম ও বৃষ্টিপাতের কারণে সবাই আসতে পারেনি। উপজেলা প্রশাসনের লোকজন ও সেনা সদস্যদের উপস্থিতে এসব চালসহ খাদ্যপণ্য বিতরণ করা হয় বলে তিনি জানান।
এদিকে উপজেলার দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় পাড়াসমূহের বসবাসরত স্থানীয়দের তীব্র খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। গত বছর পাহাড়ি জুম মৌসুমে বৈরি আবহাওয়ায় ঠিকসময়ে জুমচাষ করতে না পারা এবং গরীব দুস্থরা মজুরি যাবার বা কাজ করার সুযোগ না থাকায় এ সংকট দেখা দিয়েছে বলে জানা গেছে। এঅবস্থা চলতে থাকলে পাহাড়ে সাধারণ মানুষেরা না খেয়ে মরে যাবার আশংকা করছে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।
রেমাক্রীপ্রাংসা ইউপির নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান জিরতেøায়াং বম জানান দুর্গম এলাকায় জুম চাষীদের মধ্যে কমবেশি প্রতি বছর জুন থেকে আগস্ট পর্যন্ত খাদ্য সংকট দেখা দেয়। তবে এবছর বেশ কটি পাড়ায় খাদ্যসংকট মারাত্মক আকার ধারণ করছে। গত বছর পাহাড়ি জুম মৌসুমে বৈরি আবহাওয়ার কারণে জুমচাষ করতে পারেনি। তাছাড়া যারা আদা চাষ করছিল, তাদেরও আদা পচন ধরায় চাষীরা ভাল ফলন পায়নি। এসব কারণে ওই এলাকায় এখন খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। তবে খাদ্য সংকটাপন্ন পরিবারের সঠিক সংখ্যার তালিকা উপজেলায় চারটি ইউনিয়নের সবকটিতে খুঁেজ পাওয়া যায়নি।
সদর ইউপি সচিব উবানু মার্মা জানান নবনির্বাচিত সদস্যদের মাধ্যমে প্রকৃত খাদ্যের অভাব এমন পরিবারের তালিকা করা হচ্ছে। তালিকাটি হাতে পাবার পর খাদ্যাভাবের পরিবারের প্রকৃত সংখ্যা বলা যাবে বলে তিনি জানান।