গুপ্তহত্যাকারীদের দমনে আওয়ামী লীগ সরকার জিরো টলারেন্সে আছে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম। তিনি বলেছেন, ‘এ ঘটনায় যেই জড়িত হোক না কেন, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এমনকি খালেদা জিয়ার কোনো লিংক থাকলে তাঁর বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আজ শুক্রবার আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলটির ২০তম জাতীয় সম্মেলন উপলক্ষে গঠিত ঘোষণাপত্র উপকমিটির বৈঠকে শেখ সেলিম এসব কথা বলেন।
শেখ সেলিম বলেন, ‘যখন দেশে ৯৩ দিনব্যাপী পেট্রলবোমা মেরেছিল বিএনপি-জামায়াত, তখন সরকার জনগণের সাহায্য নিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বন্ধ করেছিল। আমরা আবার জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলতে চাই—জঙ্গি সন্ত্রাসীদের ধরিয়ে দিতে আমাদের অতীতের মতো সহযোগিতা করুন। আপনাদের নিয়েই আমরা অতিসত্বর জঙ্গিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করব। তাই আমরা আশা করি, জনগণের সাহায্য নিয়ে অতিসত্বর এ ধরনের ঘটনা বন্ধ হবে।’
শেখ সেলিম বলেন, ‘যখন দেশে পেট্রলবোমা মারা হচ্ছিল, তখন বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া বলেছিলেন সরকারের পক্ষ থেকে করা হচ্ছে। কিন্তু পেট্রলবোমার সন্ত্রাসীদের ধরার পর বের হয়ে এসেছিল তারা বিএনপি-জামায়াতের লোক। এখন দেশে গুপ্তহত্যা হচ্ছে, বিএনপির চেয়ারপারসন বলছেন—আমরা এসব কর্মকাণ্ড করছি। তাহলে কি আমরা আমাদের সরকারকে বিব্রত করার জন্য এ সকল কর্মকাণ্ড করছি? তিনি সন্ত্রাসীদের প্রোটেকশন দেওয়ার জন্য এসব কথা বলছেন।’
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘গুপ্তহত্যা করে কি সরকার পতন ঘটানো যাবে? এ রকম গুপ্তহত্যা দেশে নকশাল, সিরাজ শিকদারেরাও করেছিল, কিন্তু তারা সরকারের পতন ঘটাতে পারেনি। এখন তাদের অস্তিত্বও নেই। এ অপরাজনীতি যারা করছে, তারা হয়তো ক্ষণিকের জন্য মানুষের মনে ভয়ভীতি ছড়াতে পারছে। তাদের দমন করার জন্য আমাদের সরকার জিরো টলারেন্স আছে। এ ঘটনায় যে হোক না কেন, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এমনকি খালেদা জিয়ার কোনো লিংক থাকলে, তাঁর বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ঘোষণাপত্র উপকমিটির আহ্বায়ক বলেন, ভিশন-২০২১ ও রূপকল্প-২০৪১ বাস্তবায়নে আওয়ামী লীগের ঘোষণাপত্র আরও পরিবর্ধন করা হবে।
উপকমিটির সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মহীউদ্দীন খান আলমগীর, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, কৃষি ও সমবায় সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বি এম মোজাম্মেল হক, আবু সাঈদ আলম মাহমুদ, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী মাহবুবুল হক শাকিল প্রমুখ।