॥ বান্দরবান প্রতিনিধি ॥ বান্দরবানের থানচিতে পাহাড়ি ঢলে সাঙ্গু নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তিন্দু ও রেমাক্রি ইউনিয়নে আটকা পড়েছে প্রায় অর্ধশতাধিক পর্যটক। গত শনিবার (১১ জুন) বিকাল থেকে উপজেলার দুটি ইউনিয়নের পর্যটন স্পটগুলোতে ঘুরতে যাওয়া পর্যটকরা আটকা পড়েন। বান্দরবান গাইড ট্যুর এর গাইড ডাবলু বড়–য়া জানান, গত তিন দিনের টানা বর্ষন ও পাহাড়ি ঢলে থানচির তিন্দু ও রেমাক্রি ইউনিয়নে সাঙ্গু নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে প্রবল স্রোত ও পাথুরে পিচ্ছিল নৌপথ বিপদজনক হয়ে পড়ে। যার ফলে দূর্ঘটনার আশঙ্কায় নৌ চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে ওই দুই ইউনিয়নের নাফাখুম, সাতভাই খুম, বড় মদক, ছোট মদক, আমিয় কুম, রেমাক্রি, তিন্দুসহ বিভিন্ন পর্যটন স্পটগুলোতে ঘুরতে যাওয়া অর্ধ শতাধিক পর্যটক আটকা পড়েছে। এছাড়াও স্থানীয় ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার লোকজন পড়েছে দারুন বিপাকে। তবে বৃষ্টিপাত কমে যাওয়ায় নদীর পানি কমতে শুরু করেছে বলে জানা গেছে। থানচির তিন্দু ও রেমাক্রি ইউনিয়নের পর্যটন স্পটগুলোতে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা না থাকায় নৌ পথের উপর নির্ভর করতে হয় স্থানীয় লোকজন ও পর্যটকদের। থানচি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আনোয়ার হোসাইন জানান, হঠাৎ করে টানা বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলের কারণে নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে পর্যটন স্পটগুলো পাথুরে এবং পিচ্ছিল হওয়া ও তীব্র স্রোতের কারণে নৌ যোগাযোগ বিপজ্জনক হয়ে পড়ে। যার ফলে নৌ চলাচল সাময়িক বন্ধ রয়েছে। তিন্দু ও রেমাক্রি ইউনিয়নে কিছু পর্যটক আটকা পড়ে থাকার খবর শুনেছি। বছরের এ সময়টাতে ওইসব পর্যটন স্পট বিপজ্জনক হয়ে উঠায় জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পর্যটকদের ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করা হয়। তবে এখনও এ ব্যাপারে কোন নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়নি। বৃষ্টিপাতের অবস্থা বুঝে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান তিনি। গত চার বছরে রেমাক্রি ও তিন্দুতে বিভিন্ন দুর্ঘটনায় ৭ জন পর্যটক নিহত এবং নাফাকুমে পানিতে ডুবে এক মেডিকেল ছাত্রসহ তিন পর্যটক নিহত হন।