অস্ত্র আইনে করা মামলায় হাইকোর্ট থেকে ছয়মাসের জামিন পেয়েছেন চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নূরুল আজিম রণি।
সোমবার (১৩ জুন) বিচারপতি মো. হাবিবুল গণি ও বিচারপতি মো. আকরাম হোসেন চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ রণির ছয় মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করেন।
গত ০৭ মে বেলা সোয়া ১২টার দিকে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন চলাকালে হাটহাজারী উপজেলার মির্জাপুর থেকে রণিকে আটক করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এরপর প্রভাব বিস্তারের অভিযোগে দুই বছরের কারাদণ্ড দেন নির্বাচনে দায়িত্বরত জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হারুনুর রশিদ। এছাড়া অস্ত্র আইনে তার বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করা হয়।
গত ২৫ মে দুই বছরের কারাদণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে করা আপিল মামলায় রণিকে জামিন দেন চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ আদালত। তবে অস্ত্র মামলায় জামিন নামঞ্জুর করেন।
এরপর রণির পক্ষে হাইকোর্টে জামিনের আবেদন জানানো হয়।
হাইকোর্টে রণির পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শ ম রেজাউল করিম। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী আব্দুর রাজ্জাক রাজু। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল রোনা নাহরীন ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মনজু নাজনীন।
পরে শ ম রেজাউল করিমের চেম্বার থেকে বাংলানিউজকে জানানো হয়, রণিকে ছয়মাসের জামিন দিয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। রুলে তাকে কেন স্থায়ী জামিন দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়েছেন।
এ মামলায় জামিন পাওয়ায় রণির মুক্তিতে আর কোনো বাধা থাকল না বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
গত ০৭ মে বেলা সোয়া ১২টার দিকে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন চলাকালে হাটহাজারী উপজেলার মির্জাপুর থেকে নির্বাচনে দায়িত্বরত জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হারুনুর রশিদের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে রণিসহ নয়জনকে আটক করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এ সময় রণির কাছে একটি নাইন এমএম পিস্তল, ১৫ রাউন্ড গুলি ও ২৬ হাজার টাকা পাওয়া যায় বলে গণমাধ্যমে তথ্য দেয় বিজিবি। এরপর তাদের হাটহাজারী থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।
ওইদিন সন্ধ্যায় ম্যাজিস্ট্রেট হারুনুর রশীদের নেতৃত্বে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত রণিকে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন বিধিমালা ২০১৬ এর দু’টি ধারায় এক বছর করে মোট দুই বছর কারাদণ্ড দেন। পরদিন সকালে রণিকে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। এছাড়া রণির বিরুদ্ধে হাটহাজারী থানায় অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করা হয়।
চট্টগ্রামের রাজনৈতিক অঙ্গনে পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তির ছাত্রনেতা হিসেবে পরিচিত রণিকে আটকের সময় পাঞ্জাবির কলার ধরে টানা-হেঁচড়া ও শারীরিক লাঞ্ছনার ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে ঘটনার দিন। এরপর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভের বিস্ফোরণ ঘটে। রণির মুক্তির দাবিতে রাজপথে নামে ছাত্রলীগ।
নূরুল আজিম রণি চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর অনুসারী হিসেবে রাজনীতিতে পরিচিত।