বিশেষ কোনো কারণ ছাড়া অহেতুক প্রকল্পের ব্যয় ও সময় বৃদ্ধি করা যাবে না বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার (১২ জুলাই) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে এ কথা জানান তিনি। একই সঙ্গে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রকল্প বাস্তবায়নের নির্দেশনা দেন।
রাজধানীর শেরে বাংলানগর এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রকল্প গ্রহণের আগেই সমস্ত দিক বিবেচনা করে প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে। প্রকল্প বাস্তবায়নের মাঝপথে এসে নতুন নতুন অঙ্গ যোগ করা যাবে না। প্রকল্প বাস্তবায়নের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত কি পরিমাণে ব্যয় বাড়তে পারে- সে কথা বিবেচনা করে প্রকল্প গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেন তিনি।
বৈঠক শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, নির্দিষ্ট সময়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন করার জন্য প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন। মাঝপথে এসে প্রকল্পের ব্যয় ও সময় যাতে না বাড়ে সেই নির্দেশনা দিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী আরও বলেন, এ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী যতোগুলো অনুশাসন দিয়েছেন তার মধ্যে এটি অন্যতম। প্রকল্পের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত নির্মাণ সামগ্রীর কি পরিমাণে দাম বাড়তে পারে সেসব বিষয় বিবেচনা করে প্রকল্প গ্রহণ করতে বলেছেন। যাতে করে একই প্রকল্প সংশোধনের জন্য একনেক বৈঠকে ফের উপস্থাপন না করা হয়।চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য ‘ই-জুডিশিয়ারি পাইলট’ প্রকল্প একনেক সভায় উপস্থাপন করা হয়। প্রকল্পের প্রস্তাবিত ব্যয় ছিল ৩২৭ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। প্রকল্প এলাকা ঢাকা, কুমিল্লা, রংপুর, চট্টগ্রাম, সিলেট, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, গোপালগঞ্জ, নাটোর, যশোর ও মৌলভীবাজার। প্রকল্পের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল, ডিজিটাল ব্যবস্থা প্রবর্তনের
মাধ্যমে দ্রুত ও স্বচ্ছতার সঙ্গে বিচার কার্যক্রম পরিচালনা করা। প্রকল্পটি একনেক বৈঠকে অনুমোদন দেওয়া হয়নি। পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ভার্চুয়াল কোর্ট স্থাপনের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ভার্চুয়াল কোর্ট স্থাপিত হলে যেসব আসামিকে জেলখানা থেকে কোর্টে আনতে সমস্যা মনে হবে, তাদের সেখান থেকেই বিচার পরিচালনা করা সম্ভব হবে।