অবশ্য এরই মধ্যে আয়-ব্যয়ের তথ্য জমা দিয়েছে জাতীয় পার্টি, জাসদসহ ৩০টি দল।
রোববার ছিল ২০১৫ পঞ্জিকা বছরের ‘অডিট রিপোর্ট’ জমা দেওয়ার শেষ দিন।
রাজনৈতিক দলগুলোর কোন খাত থেকে কত টাকা আয় হয়েছে, কত টাকা ব্যয় হয়েছে, বিল-ভাউচারসহ তার পূর্ণাঙ্গ তথ্য প্রতিবছর কমিশনের নির্ধারিত একটি ছকে জমা দেওয়ার বিধান রয়েছে।
ইসির জনসংযোগ পরিচালক এস এম আসাদুজ্জামান তথ্য জানান জানান, ১০টি দল অন্তত ১৫ দিন সময় দেওয়ার জন্য আবেদন করেছে।
এরমধ্যে রয়েছে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, বিকল্পধারা, জেএসডি, বাসদ, বিজেপি, এনপিপি, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলন ও বিএনএফ।
বিএনপি ১৫ দিন সময় চাইলেও আওয়ামী লীগ সময় চেয়েছে ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।
নির্ধারিত সময়ে মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়া ৩০টি দলের মধ্যে রয়েছে এলডিপি, জেপি, সাম্যবাদী দল, কৃষক শ্রমিক জনতালীগ, সিপিবি, ন্যাপক ওয়ার্কার্স পার্টি, জাতীয় পার্টি, জাসদ, জাকের পার্টি, তরিকত ফেডারেশন, খেলাফত আন্দোলন, বাংলাদেশ মুসলীম লীগ, গণফোরাম, গণফ্রন্ট, পিডিপি, বাংলাদেশ ন্যাপ।
এছাড়া বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি, ইসলামী ফ্রন্ট, কল্যাণ পার্টি, ইসলামী ঐক্যজোট, বাংলাদেশ, খেলাফত মসলিশ, ইসলামী আন্দোলন, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট, জাগপা, বিল্পবী ওয়ার্কার্স পার্টি, খেলাফত মসলিশ, বিএমল ও মুক্তিজোটও নির্ধারিত সময়ে তথ্য জমা দিয়েছে।
ইসির সহকারী সচিব রৌশন আরা বলেন, “প্রাপ্ত অডিট প্রতিবেদন কমিশনে উপস্থাপন করা হবে। সেই সঙ্গে সময় চেয়ে আবেদনগুলোও পর্যালোচনা করবে ইসি। কমিশন অনুমোদন করলেই প্রয়োজনীয় সময় বাড়ানো হবে।”
২০০৮ সাল থেকে নিবন্ধন প্রথা চালুর পর গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ মেনে প্রতিবছর আর্থিক লেনদেনের হিসাব ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে দেওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।