নরসিংদীর আড়িয়াল খাঁ নদে ট্রলার ডুবে ছয়শিশুসহ নয় জনের মৃত্যু হয়েছে, নিখোঁজ রয়েছে আরও ১০ থেকে ১৫ জন। শনিবার রায়পুরা উপজেলার জংলী শিবপুর ব্রিজের নিচে আড়িয়াল খাঁ নদে ট্রলার ডুবির এ ঘটনা ঘটে বলে রায়পুরা থানার ওসি আজারুল ইসলাম জানান।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন দেওয়ানের চর এলাকার মালদারের নেছা (৮০) ও তাঁর নাতি ইয়াছিন (৭), চর মরজাল এলাকার ফুলেছা বেগম (৫০), বারৈচা এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে রাকিব মিয়া (১২), একই এলাকার মিলন মিয়ার মেয়ে মারজিয়া বেগম (৩), আকতার মিয়ার ছেলে সম্রাট মিয়া (৮), রবিউল্লাহ মিয়ার স্ত্রী মালা বেগম (২৫) ও মেয়ে সুমাইয়া আক্তার (৫) ও সুন্দর আলীর মেয়ে জেরিন আক্তার (৮)।
প্রত্যক্ষদর্শী ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, ‘আমি ঘাটেই বসে ছিলাম। দ্বিতীয় নৌকাটি অনেকটা জরাজীর্ণ ছিল। যাত্রীও বেশি নিয়েছিল। তাই ছাড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রথমে একদিকে কাত হয়ে যায় এবং পরে উল্টে যায়। আর ডুবে যাওয়া ট্রলারে শিশু ও নারী থাকায় হতাহতের ঘটনাটি বেশি হয়েছে। যে পরিমাণ লোকজন ট্রলারে দেখেছি আর যে পরিমাণ লোক সাঁতরে উঠেছে; খুব বেশি হলে ১০–১২ জন নিখোঁজ থাকতে পারে। আবার নাও থাকতে পারে।
ওসি আজারুল ইসলাম বলেন, বেলাব উপজেলার বারৈচা গ্রামের ইউপি সদস্য আবদুল হাইয়ের তত্ত্বাবধানে রায়পুরা উপজেলার জংলী শিবপুর বাজার ঘাট থেকে শতাধিক যাত্রী নিয়ে ট্রলারটি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার বড়িকান্দি গ্রামের গনি শাহর মাজারে যাচ্ছিল।
অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাইয়ের কারণে ট্রলারটি ডুবে যায়। যাত্রীদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন দঁড়ি বেঁধে ট্রলারটি কিনারায় আনার পর অধিকাংশ যাত্রী সাঁতরিয়ে উঠলেও শিশুসহ আটজনের লাশ পাওয়া যায়।
অন্তত ১০ থেকে ১৫ যাত্রী নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানান তিনি। নিখোঁজদের সন্ধানে ছয় সদস্যের ডুবুরি দল এবং ফায়ার সার্ভিস চেষ্টা চালাচ্ছে।