এমনিতে পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়িতে সব সময় কমবেশি পর্যটকদের ভিড় থাকে। তবে, এবার ঈদকে কেন্দ্র করে জেলার প্রত্যেকটি পর্যটন স্পটে পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড় লেগেই আছে।
প্রতি বছর ঈদের পর থেকে পর্যটকদের ভিড় থাকলেও এবার বিপরীত। লম্বা ছুটি থাকায় পরিবার পরিজন নিয়ে ঈদের আগ থেকে ভ্রমণ পিপাসুদের ভিড় চোখে পড়ার মতো।
শুক্রবার( ৮ জুলাই) জেলার আলুটিলা, রিছাং ঝরনা, তারেং, জেলা পরিষদ পার্কে পর্যটকদের ভিড় দেখা গেছে।
কেউ ব্যস্ত সুবজের বুক চিরে পড়া ঝরনার পানিতে নিজেকে ভাসিয়ে দিতে, কেউ ব্যস্ত সর্বোচ্চ উচুঁ পাহাড় থেকে পাহাড়ের রুপ দেখতে। কেউবা হাতে মশাল নিয়ে প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্ট আলুটিলা সুরঙ্গের এক প্রান্ত হয়ে অন্য প্রান্ত দিয়ে বের হয়ে ভাবছেন দুঃসাহসিক।
ঢাকার মিরপুরের বাসিন্দা সৈকত মাহবুব বলেন, ‘এই প্রথমবার খাগড়াছড়িতে আসলাম। এমনিতে এই জেলা নিয়ে একটু ভীতি ছিল। তার ওপর দেশের এই অবস্থার মধ্যে অনেকটা সাহস করে চলে এসেছি। আর এখানে এসে সত্যি মুগ্ধ হলাম। অসাধারণ জায়গা। নিরাপত্তা ব্যবস্থাও চোখে পড়ার মতো।সিলেট থেকে ঘুরতে আসা পর্যটক দম্পতি রবিউল আহসান ও রাইসা নুর। রিছাং ঝরনার পানি দিয়ে নামার সময় প্যান্ট ছিড়ে গেছে। সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে কথা বলতে গেলে হাসতে হাসতে বলেন, এই ঈদের নতুন প্যান্ট কিনেছি। পিচ্ছিল পথ দিয়ে নামার সময় ছিড়ে গেছে। ভাবছি প্যান্টতো আবার কিনতে পারবো। কিন্তু এখানে যে আনন্দটা পাচ্ছি, সেটা আর কোথাও পাবো না।
একই ভিড় দেখা গেছে, পার্বত্য জেলা পরিষদ পার্কে। কিডস জোন, ট্রেন, ঝুলন্ত ব্রিজসহ বিভিন্ন জায়গায় পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড়। ঈদের প্রথম দিন এখানে প্রায় ৩ হাজার পর্যটক ঘুরতে এসেছেন। কর্তৃপক্ষের আসা সামনে উপস্থিতি আরও বাড়বে।
এদিকে, পর্যটন স্পট পরিদর্শনকালে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, খাগড়াছড়িতে আগের চেয়ে পর্যটকদের উপস্থিতি অনেক বেড়েছে। আর এবার সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা নিয়ে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছি। আশা করি পর্যটকরা নির্বিঘ্নে সব স্পট ঘুরে দেখতে পারবো।