ঈদ সামনে রেখে আমদানি নির্ভর সব ধরনের মসলার দাম বেড়েছে। কেজিতে সব ধরনের জিরায় বেড়েছে অন্তত ২০ টাকা। আলু বোখারা, এলাচের দামও বেশ চড়া।
রাজধানীর বড় পাইকারি বাজার কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা যায়, পাইকারিতে প্রতিকেজি আমদানি নির্ভর জিরায় ২০ থেকে ৪০ টাকা বেড়েছে। প্রতি কেজি ভারতীয় জিরার দাম ৩৪০, সিরিয়ান জিরা ৩৬৫, টার্কিশ জিরা ৩৬৫ এবং আফগান জিরা ৩৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। কয়েক দিন ধরেই বেড়েছে জিরার দাম।
তবে ইরানি জিরার দাম আরও চড়া। যে কারণে বর্তমানে বাজারে কোনো ধরণের ইরানি জিরা নেই।
কারওয়ানবাজারে সওদাগর স্টোরের মালিক শরিফ হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, হঠাৎ করেই সব ধরণের জিরার দাম বাড়তি। ইরানি জিরার দাম আরও বেশি যে কারণে এটি এখন বাজারে নেই।’
প্যাকেটজাত লবনে কেজি প্রতি ১২ থেকে ১৪ টাকা বেড়ে ৩৪ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে স্থীতিশীল আছে ধনিয়া ও বাদামের দাম। প্রতিকেজি বাদাম ও ধনিয়া ৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
বেড়েছে এলাচের দাম। কেজি প্রতি ৪০ থেকে ৫০ টাকা বেড়েছে। প্রতিকেজি আমেরিকান গুয়েতমালা এলাচে ৪০ টাকা বেড়ে ৯২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ভারতীয় এলাচে ৫০ টাকা বেড়ে ১ হাজার ৫৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
প্রতি কেজি আলু বোখারায় বেড়েছে ১০০ টাকা। এখন পাইকারীতে প্রতি কেজি ৫২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আমদানি নির্ভর চাইনিজ ফিস সস বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। এখন কেজিপ্রতি ১৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
তবে অস্বাভাবিকভাবে কমেছে কালিজিরার দাম। কয়েক মাসে কালিজিরার কেজি ছিল ৩৮০ টাকা। অথচ এখন বিক্রি হচ্ছে মাত্র ১৪০ টাকা দরে। হঠাৎ করে কেজি প্রতি ১০০ টাকা বেড়ে ১ হাজার ৭৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে মসলা পেস্তা। প্রতিকেজি ভূসির দাম ১০০ টাকা বেড়ে এখন ৮২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
কেজি প্রতিকমে আমেরিকান কাঠ বাদাম ৬৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মসলার দাম বাড়া প্রসঙ্গে নগরীর শাহরস্তী এন্টারপ্রাইজের মালিক বাহার উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, মসলা মানেই আমদানি নির্ভর। বাংলাদেশে কোনো মসলা হয় না বলা চলে। আমদানি ভ্যাট বাড়ার কারণে মসলার দাম বাড়তি। তবে ঈদ চলে গেলে দাম কমে আসবে। মসলা মানুষ সব সময় খায় না। ঈদে চাহিদা বাড়ায় মসলার দামও বাড়ে। আমদানিকারকরা মসলার সংকট দেখিয়ে দাম বাড়িয়ে দেন’।
কমেছে কিসমিসের দাম। প্রতিকেজি কিসমিস কমে ২৬৫ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। স্থীতিশিল আছে ইন্দোনেশিয়ান লবঙ্গের দাম। প্রতিকেজি লবঙ্গ মানভেদে ৮৯০ থেকে হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
তবে কিছু মসলার দাম স্থীতিশীল আছে। যেমন প্রতিকেজি হলুদ ১৮০, গুঁড়া হলুদ ২০০, সরিষা ৬০, জায়ফল ৫৬০ থেকে ৫৭০, পাঁচ ফোড়ন ১২০, কালো গোল মরিচ ৯০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
ভারতীয় ও পাকিস্থানি কাবলি সাদা ছোলা ১৭৫ টাকা ও ভারতীয় রাজমা ৮৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।