রাজস্ব আহরণের কৌশল নির্ধারণ করা হয়েছে। সে অনুযায়ী এ অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবেই বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান।
শুক্রবার (০১ জুলাই) এনবিআরের সম্মেলন কক্ষে ২০১৬-১৭ অর্থবছরের রাজস্ব সংগ্রহের কৌশল নির্ধারণী বোর্ড সভায় তিনি এ কথা জানান।
সভায় চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে ৯টি সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এতে এনবিআর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
চলতি অর্থবছরের বাজেটে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড নিয়ন্ত্রিত রাজস্ব আহরণ লক্ষ্যমাত্রা ২ লাখ ৩ হাজার ২১২ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বিদায়ী অর্থবছরের রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রার ১ লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকার বিপরীতে ১ লাখ ৫৪ হাজার ৭৮৩ কোটি ৯৩ লাখ টাকা আদায় হয়েছে। পরপর দুই অর্থবছর রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রার অতিরিক্ত আদায় হয়।
সভায় অর্থ আইন-২০১৬ জাতীয় সংসদে বিবেচনাকালে যে সব কর প্রস্তাব সংশোধিত হয়েছে, সে বিষয়ে গৃহীত ব্যবস্থাদি বিষয়ে পর্যালোচনার সিদ্ধান্ত হয়।
কর প্রস্তাবের সব বিষয় আয়কর, শুল্ক ও ভ্যাট অনুবিভাগের কমিশনারদের মাধ্যমে মাঠ পর্যায়ের সব কার্যালয়কে অবহিত ও ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দেওয়া হয়।
চলতি অর্থবছরের বাজেট বাস্তবায়নে সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ, সব চেম্বার ও ঢাকার বাইরের বিভিন্ন পর্যায়ের সব অংশীজনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ পার্টনারশিপ গড়ার রূপরেখা নিয়ে আলোচনা করা হয়।
এ অর্থবছরের ‘রাজস্ব সংগ্রহে সব অংশীজনের ভূমিকা’-এ প্রতিপাদ্য নিয়ে বিভিন্ন পর্যায়ে আলোচনা ও সংলাপ অনুষ্ঠানের আয়োজন করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
১ জুলাই ২০১৭ থেকে ভ্যাট আইন বাস্তবায়িত হতে পারে। সেজন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সম্পাদন, পরামর্শমূলক সভা ও অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা করার সিদ্ধান্ত হয়।
রাজস্ব সংগ্রহ কার্যক্রমকে জোরদার করার লক্ষ্যে এনবিআর থেকে সব কমিশনারেটের কার্যক্রম ও কমিশনারদের পক্ষ থেকে অধিনস্ত কার্যালয় সমূহের কার্যক্রম মনিটরিং করার নির্দেশ দেন চেয়ারম্যান।
অর্থমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী, প্রতি দু’মাস পরপর রাজস্ব সংগ্রহের গতি প্রকৃতি পর্যালোচনা ও মূল্যায়নের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
এ মূল্যায়ন ও পর্যালোচনা সভা আগামী আগস্ট, অক্টোবর, ডিসেম্বর ও ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি, এপ্রিল ও জুন মাসে অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় ২০১৬-১৭ অর্থবছরের মাঠ পর্যায়ের সব কমিশনারের জন্য রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।
রাজস্ব সংগ্রহে সব পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এনবিআর নিয়ন্ত্রিত দু’টি প্রশিক্ষণ একাডেমির মান উন্নয়নের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সব পর্যায়ের করদাতা সেবার মান উন্নয়নসহ নির্ধারিত রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রশিক্ষণের ওপর জোর দেওয়া হয়।
প্রশিক্ষণ একাডেমির মান বৃদ্ধির জন্য প্রথমবারের মতো বিসিএস কর একাডেমি ও কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট একাডেমির আলাদা পরিচালনা পর্ষদ গঠনের সিদ্ধান্ত হয়।