॥ খাগড়াছড়ি সংবাদদাতা ॥ খাগড়াছড়িতে নিউমোনিয়া পরিস্থিতির ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে আরো ২১ নিউমোনিয়া রোগী খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আশংকাজনক অবস্থায় তিন শিশুকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। হঠাৎ করে নিউমোনিয়া রোগী বেরে যাওয়ায় হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্সরা হিমশিম খাচ্ছে। ওয়ার্ডে জায়গা না হওয়ায় অনেক অভিবাবক তাদের রোগাক্রান্ত শিশুদের নিয়ে বারান্দায় ও ফ্লোরে আশ্রয় নিয়েছে।
প্রতি মূহুর্তে নিউমোনিয়া রোগী আসতে থাকায় শিশু ওয়ার্ডে জায়গা নেই। তাই চিকিৎসার জায়গা হয়েছে বারান্দায় ও ফ্লোরে। ফলে চিকিৎসা নিতে এসে আরো অসুস্থ্য হয়ে পড়ছে শিশুরা। সে সাথে বাড়তি ঝামেলা যোগ হয়েছে ডাক্তার সংকট।
খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালের রেজিষ্টার খাতা ঘেটে দেখা গেছে, বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘন্টায় খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালের আউট ডোরে প্রায় ৫৫৮ জন রোগী চিকিৎসা নিয়েছে। রোগীদের মধ্যে অধিকাংশই শিশু ও শ্বাস কষ্টের।
খাগড়াছড়ি হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে দায়িত্ব থাকা নার্স মনোবিকা চাকমা জানান, বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত নতুন করে নিউমোনিয়া রোগে আক্রান্ত শিশু ভর্তি হয়েছে। তাদের মধ্যে আবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তিনজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
খাগড়াছড়ি হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা: রাজেন ত্রিপুরা জানান, খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে রোগীদের মধ্যে ৯০ ভাগই শিশু শ্বাস কষ্টের রোগী। তবে এখন পর্যন্ত কেউ মারা যায়নি।
সিভিল সার্জন ডাক্তার নিশিত নন্দী মজুমদার বলেন, অতি বৃষ্টি ও তাপমাত্রা উঠা-নামা করার কারণে হঠাৎ করে নিউমোনিয়ার প্রকোপ বেড়েছে। তবে এখন পর্যন্ত প্রাণ হানির ঘটনা ঘটেনি। চিৎিসকরা শিশুদের বৃষ্টির পানি ও গমর থেকে শিশুদের দূরে রাখার জন্য অভিবাবকদের পরামর্শ দিয়েছেন।
খাগড়াছড়ি ১শয্যার আধুনিক হাসপাতালে ডাক্তার সংকটের পাশাপাশি নোংরা পরিবেশ রোগীদের আরো অসুস্থ করে তুলছে।