চট্টগ্রাম নগরী ও উপজেলা পর্যায়ে ৬-৫৯ মাস বয়সী ১৩ লাখ ২১ হাজার ৯১৬ জন শিশুকে ‘ভিটামিন এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে শনিবার (১৬ জুলাই)।
চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. আজিজুর রহমান সিদ্দিকী বুধবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানান।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন সফল করার লক্ষ্যে সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। ৪ হাজার ৮৬১টি কেন্দ্রে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। ১৪ হাজার ৫৮৩ জন স্বেচ্ছাসেবীর পাশাপাশি ৮৯৯ জন স্বাস্থ্যকর্মী কাজ করবেন।
তিনি জানান, ৬-১১ মাস বয়সী শিশুকে একটি নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। ১২-৫৯ মাস বয়সী শিশুরা পাবে লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল।
সকাল আটটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত ১ লাখ ২০ হাজার স্থায়ী ও ২০ হাজার অস্থায়ী কেন্দ্রে এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। চার মাসের মধ্যে কোনো শিশু ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খেয়ে থাকলে তাকে ওই ক্যাম্পেইনে আর খাওয়ানো যাবে না।
এর আগে ২৩ জুন চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের সম্মেলন কক্ষে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষে বিভাগীয় অ্যাডভোকেসি ও পরিকল্পনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের দপ্তর ও জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠান আয়োজিত ওই সভায় জানানো হয়েছিল, ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল মাঠকর্মী বা এনজিও কর্মীদের নিজহাতে খাওয়াতে হবে। কোনো অবস্থাতেই অভিভাবকদের হাতে ক্যাপসুল দেওয়া যাবে না।
কান্নারত অবস্থায় বা জোর করে ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে না। ক্যাপসুলটি কাঁচি দিয়ে নির্দিষ্ট স্থানে কেটে ভেতরের তরলটুকু খাওয়াতে হবে। আস্ত ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে না। সকাল ১০ থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বেশি ভিড় হয় দেখে কোনো কোনো মাঠকর্মী আগেভাগে অনেক ক্যাপসুল কেটে রাখেন, এতে ক্যাপসুলের গুণাগুণ নষ্ট হয়ে যাবে।
এদিকে জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন ২০১৬ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) সকাল ১১টায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের স্বাস্থ্য বিভাগের উদ্যোগে কেবি আবদুচ ছত্তার মিলনায়তনে সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে।