নগরীর এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে রোববার (২৪ জুলাই) থেকে শুরু হওয়া বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) ফুটবলে চার স্তরের নিরাপত্তা দেবে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)। খেলা চলাকালীন স্টেডিয়ামের ১৩ ফটকই বন্ধ থাকবে। ৬টি ফটক দিয়ে ঢুকতে পারবেন দর্শক। স্টেডিয়ামে মোবাইল ছাড়া আর কিছুই সঙ্গে নেওয়া যাবে না।
এ ছাড়া ১২ দলে থাকা অর্ধশত বিদেশি ফুটবলারের ব্যাপারে অধিকতর সজাগ থাকবে পুলিশ। পাশাপাশি ফুটবলারদের অনুশীলনসহ যেকোনো জায়গায় আসা-যাওয়ার সময় নিরাপত্তা দেবে পুলিশ।
শুক্রবার (২২ জুলাই) বিকেল সাড়ে চারটায় এক সংবাদ বিফ্রিংয়ে এসব কথা বলেন সিএমপি কমিশনার ইকবাল বাহার। সিএমপি কমিশনারের কার্যালয়ের সামনে এ সংবাদ বিফ্রিং অনুষ্ঠিত হয়।
সিএমপি কমিশনার ইকবাল বাহার বলেন, ‘বিপিএল চলাকালীন চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হবে এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে। এ ছাড়া খেলায় অংশ নিতে আসা ১২টি দল নগরীর ৮টি হোটেলে অবস্থান করছেন। এসব হোটেলের প্রতিটি লবি ও ফ্লোরে অধিকতর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে। পাশাপাশি খেলোয়াড়রা পুলিশের সরবরাহ করা মাইক্রোবাসে করে মাঠে যাবে। পুলিশ গাড়ির দুপাশে নিরাপত্তা দিয়ে তাদের মাঠে নিয়ে যাবে।’
ইকবাল বাহার বলেন, স্টেডিয়ামে শুধু মোবাইল ছাড়া অন্যকিছু নিয়ে ঢুকতে পারবেন না দর্শকেরা। ভ্যানিটি ব্যাগ এমনকি পানির বোতলও সঙ্গে নেওয়া যাবে না। স্টেডিয়ামের ভেতর জেলা ক্রীড়া সংস্থার (সিজেকেএস) উদ্যোগে বিভিন্ন ভ্রাম্যমাণ দোকান খোলা হবে। সেসব দোকান থেকে খাবার ও পানীয় সংগ্রহ করতে পারবেন দর্শক।’
স্টেডিয়ামের ২০টি ফটকের মধ্যে ১৩টি বন্ধ থাকবে জানিয়ে সিএমপি কমিশনার বলেন, ৬টি দিয়ে সাধারণ দর্শক এবং একটি দিয়ে ভিআইপি দর্শক স্টেডিয়ামে ঢুকতে পারবেন। প্রতিটি ফটকেই দর্শকদের মেটাল ডিটেক্টরে তল্লাশি করা হবে এবং আর্চওয়ে দিয়ে ঢুকতে হবে।’
ইকবাল বাহার বলেন, প্রতিটি দলের সঙ্গে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার কর্মকর্তা থাকবেন। ফুটবলাররা যেকোনো জায়গায় যেতে চাইলে তারা আমাদের বিষয়টি জানাবেন। আমরা ছাড়পত্র দিলে তবে চাহিদামতো জায়গায় যাওয়া যাবে। এ ক্ষেত্রে ফুটবলারদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক পুলিশি নিরাপত্তা থাকবে।’
সিএমপি কমিশনার আরও বলেন, চট্টগ্রামে ১৮টি ম্যাচ হবে। বিএনসিসির সদস্যরা টিকেট দেখে দেখে দর্শকদের মাঠে ঢোকাবেন। এক্ষেত্রে পুলিশ কোনো হস্তক্ষেপ করবে না। কোনো সমস্যা চোখে পড়লেই পুলিশ হস্তক্ষেপ করবে।