স্বতঃস্ফূর্ত পরিবেশের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে ৬-৫৯ মাস বয়সী শিশুদের ‘ভিটামিন এ ক্যাপসুল’ খাওয়ানোর ক্যাম্পেইন।
শনিবার আটটা থেকে একযোগে চট্টগ্রাম নগরী ও উপজেলা পর্যায়ে ১ লাখ ২০ হাজার স্থায়ী ও ২০ হাজার অস্থায়ী কেন্দ্রে ক্যাপসুল খাওয়ানো শুরু হয়েছে। এ ক্যাম্পেইন চলবে বিকেল চারটা পর্যন্ত। মোট ১৩ লাখ ২১ হাজার ৯১৬ জন শিশুকে ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে আজ।
এর মধ্যে নগরীর ১ হাজার ২৮৮ কেন্দ্রে পাঁচ লাখের বেশি শিশুকে ‘ভিটামিন এ’ ক্যাপসুল খাওয়াচ্ছে সিটি করপোরেশন।
স্বতঃস্ফূর্ত পরিবেশের মধ্যে দিয়ে শিশুদের ভিটামিন এ ক্যাপসুল ক্যাম্পেইন শুরু হয়েছে জানিয়ে সিভিল সার্জন ডা. আজিজুর রহমান সিদ্দিকী বাংলানিউজকে বলেন, ‘কোনো শিশুই যাতে ক্যাপসুল খাওয়া থেকে বঞ্চিত না হয় সে বিষয়ে আমাদের স্বেচ্ছাসেবকরা সচেষ্ট রয়েছেন।’
সকালে বৃষ্টির কারণে ক্যাপসুল খাওয়াতে আসা শিশুদের স্বজনরা বিপত্তিতে পড়লেও বেলা গড়াতেই আকাশে রোদ উঠেছে। এর ফলে কেন্দ্রে কেন্দ্রে শিশুদের নিয়ে ভিড় জমিয়েছেন তাদের আত্মীয়-স্বজনেরা। একপ্রকার উৎসবমূখর পরিবেশ বিরাজ করছে কেন্দ্রগুলোতে।
সকালে নগরীর কাতালগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ‘ভিটামিন এ ক্যাপসুল’ খাওয়ানো ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন করেন সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন। অন্যদিকে পটিয়ার একটি কেন্দ্রে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন করেন সিভিল সার্জন ডা. আজিজুর রহমান সিদ্দিকী।
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র জানায়, শিশুদের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে ১৪ হাজার ৫৮৩ জন স্বেচ্ছাসেবীর পাশাপাশি ৮৯৯ জন স্বাস্থ্যকর্মী কাজ করছেন। ৬-১১ মাস বয়সী শিশুকে একটি নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হচ্ছে।১২-৫৯ মাস বয়সী শিশুদের খাওয়ানো হচ্ছে লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল। চার মাসের মধ্যে কোনো শিশু ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খেয়ে থাকলে তাকে আজকের ক্যাম্পেইনে আর খাওয়ানো যাবে না।