বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে জঙ্গিবাদের মূল পৃষ্ঠপোষক বলে মন্তব্য করেছেন নগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী।
সোমবার (৪ জুলাই) উত্তর পাহাড়তলী ৯ নম্বর ওয়ার্ডে নেছারিয়া মাদ্রাসায় দুস্থদের মাঝে ঈদবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন।
বেগম খালেদা জিয়ার সন্ত্রাসবিরোধী ঐক্য গড়ে তোলার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেন, তিনি ক্ষমতায় থাকার সময় বাংলা ভাই সৃষ্টি করেছেন, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গ্রেনেড হামলার ঘটনা তার সন্তান তারেক জিয়া হাওয়া ভবন থেকে মনিটরিং করেছেন এবং যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষায় পেট্রল বোমার আগুনে পুড়িয়ে শত-শত নারী-পুরুষ-শিশু হত্যা করেছেন। তাই কীভাবে সম্ভব তাকে নিয়ে সন্ত্রাসবিরোধী ঐক্য গড়ে তোলা? তিনি যদি সত্যিকার ঐক্য চান অবশ্যই তাকে জামায়াত ও যুদ্ধাপরাধীদের সঙ্গ ত্যাগ করতে হবে।
গুলশানে হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় রক্তাক্ত সন্ত্রাসী হামলাকে ভয়াবহ ও আখ্যা দিয়ে মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেন, হামলাকারীদের সাথে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের যোগসূত্রতা থাকলেও তাদের শেকড় বাংলাদেশেই। হামলাকারীরা বাংলাদেশি উচ্চবিত্ত পরিবারের উচ্চশিক্ষিত সন্তান। তাদের অভিভাবকেরা পদস্থ সরকারি আমলা, পুলিশ কর্মকর্তা এবং প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী এমনকি রাজনীতিকও। তাই বাংলাদেশে হামলাকারীদের শেকড় খুঁজে বের করতে একাত্তরের মতোই আমরা এখন যুদ্ধের মাঠে আছি।
তিনি বলেন, উচ্চবিত্ত পরিবারের মেধাবী সন্তানরা পাশ্চাত্য শিক্ষায় উচ্চশিক্ষিত হবার পরও ধর্মীয় উগ্রসন্ত্রাসবাদ তাদের মগজ ধোলাই করছে এবং বেহেশতে যাবার দুয়ার খুলে দেয়ার প্রলোভনে মানুষ হত্যার কুমন্ত্রণা দিয়ে আত্মঘাতী হতে প্রলুব্ধ করছে। এটা একটি বিপজ্জনক অশনিসংকেত। তাই আমাদের সন্তানদের উচ্চশিক্ষিত করলেই চলবে না, তারা বিপথগামী ও শেকড়চ্যূত হচ্ছে কিনা সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
তিনি দলীয় নেতা-কর্মীদের দুস্থ জনগণের পাশে থেকে তাদের সুখ-দুঃখের অংশীদার হবার আহ্বান জানান।
৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এরশাদ মামুনের উদ্যোগে আড়াই হাজার দুস্থ নারী-পুরুষের মাঝে ঈদবস্ত্র বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- পাহাড়তলী থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল আবছার মিয়া, নিয়াজ আহম্মদ, মনির আহম্মদ ভূঁইয়া, মজিবুর রহমান শরিফ, মোজাফফর আহম্মদ মাছুম, ফয়েজ আহম্মদ, নাছির উদ্দিন, মো. হানিফ, আবুল হাসনাত, নাজমা মাওলা, ডা. হাবিবা, রুবি আক্তার, ফরিদা আক্তার, ইমরান আলী রাজু, মো. জসিম প্রমুখ।