এছাড়া সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে জঙ্গি তৎপরতার অভিযোগ তদারকিতে তিন সদস্যের একটি কমিটিও করা হয়েছে।
রোববার ইউজিসি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল মান্নান বলেন, “বাংলাদেশ ব্যাংক যেমন একজন করে অবজারভার নিয়োগ দিতে পারে আমরাও (বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়) আইন সংশোধন করে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে একজন করে পর্যবেক্ষক দেওয়ার চেষ্টা করব। পর্যবেক্ষক নিয়োগ দেওয়া দরকার।”
বর্তমানে দেশে ৯৫টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকারি অনুমোদন রয়েছে। এরমধ্যে ৮০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
ইউজিসির অতিরিক্ত পরিচালক (জনসংযোগ) মো. ওমর ফারুক জানান, সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জঙ্গি কার্যক্রমের অভিযোগ তদারকির জন্য যে কমিটি করা হয়েছে, তার নেতৃত্বে থাকছেন কমিশনের সদস্য মো. আকতার হাসেন।
কমিশনের উপ-পরিচালক জেসমিন পারভিন ও উপসচিব শাহেদ সিরাজ সদস্য হিসেবে ওই কমিটিতে থাকছেন।
“এই কমিটি যে কোনো সময় যে কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিদর্শনে গিয়ে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করতে পারবে,” বলেন ওমর ফারুক।
এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া উচ্চবিত্ত পরিবারের ছেলেরাও সাম্প্রতিক সময়ে বাড়ি পালিয়ে জঙ্গিবাদে ঝুঁকছে বলে তথ্য আসায় উদ্বেগ তৈরি হয়েছে সরকার ও অভিভাবক মহলে।
২০১৩ সালে গণজাগরণ মঞ্চের কর্মী ও ব্লগার আহমেদ রাজীব হায়দার হত্যাকাণ্ড থেকে সাম্প্রতিক সময়ে গুলশান ও শোলাকিয়ার জঙ্গি হামলায় জড়িত এবং কল্যাণপুরে জঙ্গি আস্তানায় নিহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজন ঢাকার নামি বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন।
এই তরুণরা বাড়ি পালিয়ে জঙ্গিবাদে জড়াচ্ছে বলে তথ্য আসার পর সরকার নিখোঁজদের তথ্য সংগ্রহের পাশাপাশি অভিভাবকদেরও সচেতন করার উদ্যোগ নিয়েছে।
এর অংশ হিসেবে সোমবার দেশের সব সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে জঙ্গিবাদবিরোধী মানববন্ধন, শোভাযাত্রা ও সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে বলে ইউজিসি চেয়ারম্যান জানান।
সকাল ১১টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ক্যাম্পাস বা পার্শ্ববর্তী স্থানে এক ঘণ্টার এই কর্মসূচি পালিত হবে। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের সদস্যরাও তাতে যোগ দিতে পারবে।
দেশের ৪৫ লাখ মানুষ এই কর্মসূচিতে অংশ নেবে বলে আশা প্রকাশ করেন অধ্যাপক মান্নান।