শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার আগে মিউনিখের অলিম্পিয়া শপিং সেন্টারে এ হামলা হয় বলে জার্মানির রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যম ডয়েচে ভেলে জানায়।
জার্মান টেলিভিশন এনটিভি এ ঘটনায় প্রথমে ১০ জন নিহতের খবর দেয়। পরে বাভারিয়া প্রদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তিনজন নিহতের তথ্য নিশ্চিত করার কথা জানায় তারা।
মিউনিখ পুলিশের এক মুখপাত্র রয়টার্সকে বলেছেন, হামলায় অনেক মানুষ নিহত বা আহত হয়েছেন। একাধিক বন্দুকধারী হামলায় অংশ নিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।
বিপণিবিতানের ম্যাকডোনাল্ড’স-এ ৬টার দিকে প্রথম গুলিবর্ষণ হয় বলে জানা গেছে।
“এখনও শপিং সেন্টারে লোকজন রয়েছে। আমরা তাদের বের করে আনার চেষ্টা করছি,” বলেন ওই পুলিশ কর্মকর্তা।
এনটিভির খবরে বলা হয়, জার্মান স্পেশাল ফোর্স ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিযান শুরু করেছে।
সেখানে গোলাগুলি চলছে জানিয়ে ওই বিপণিবিতানের এক কর্মী টেলিফোনে রয়টার্সকে বলেন, ওই এলাকায় তিনিসহ তার অনেক সহকর্মী এখনও লুকিয়ে আছেন।“অনেক গুলি হয়েছে। কতোগুলো গুলি হয়েছে তা আমি বলতে পারছি না, তবে এ সংখ্যা বহু, ” নাম প্রকাশে অস্বীকৃতি জানিয়ে ওই বিপণিবিতান থেকে বলেছেন তিনি।
তিনি বলেন, “বাইরে থেকে সবাই দৌঁড়ে স্টোরের ভিতরে আসে এবং আমি শুধু একজনকে নিচে পড়ে থাকতে দেখেছি, যিনি এত মারাত্মক আহত যে, তিনি বেঁচে নেই বলে আমার বিশ্বাস।
“আমাদের কাছে আর কোনো তথ্য নেই। আমরা জিনিসপত্র সংরক্ষণের কক্ষগুলোর পিছনে আছি। এখনও কোনো পুলিশ আমাদের দিকে আসেনি।”
এ ঘটনার পর মিউনিখে ট্রেন, ট্রাম ও বাসের একাধিক লাইন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে পরিবহন কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
হামলার পর যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জার্মানিতে অবস্থানরত নাগরিকদের মিউনিখের ওই এলাকা এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছে।
গত সোমবার জার্মানির এই প্রদেশের ভুর্সবুর্গে ট্রেনের ভেতরে ছুরি ও কুড়াল নিয়ে হামলা চালিয়ে চার যাত্রীকে আহত করে শরণার্থী এক কিশোর। পরে পুলিশের গুলিতে ওই আফগান কিশোর নিহত হন।