তুরস্কজুড়ে এ পর্যন্ত ১,৫৬৩ জন সেনা সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে একজন কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন।
তবে রাজপথে অভ্যুত্থানকারীদের কর্তৃত্ব হারানোর প্রকাশ ঘটলেও তাদের পক্ষ থেকে এক ই-মেইল বার্তায় বলা হয়েছে, লড়াই চালিয়ে যাবেন তারা।
অটোমান সাম্রাজ্যের পতনের পর কামাল আতাতুর্ক প্রতিষ্ঠিত আধুনিক তুরস্কে গেল এক যুগের ডান শাসনে সেনাবাহিনীর বহু কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়, যা নিয়ে সামরিক বাহিনীতে ক্ষোভ রয়েছে।
তবে অভ্যুত্থানচেষ্টার নেতৃত্ব কারা ছিলেন কিংবা তাদের পেছনে কারও সমর্থন ছিল কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
সেনাপ্রধান জেনারেল হুলুসি আকার কোথায় আছেন, তা এখনও অজানা। বিদ্রোহী সৈন্যরা তাকে আঙ্কারায় সেনা সদর দপ্তরে জিম্মি করেছে বলে রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত বার্তা সংস্থা আনাদলুকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে বিবিসি।
অভ্যুত্থানচেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর সেনা সদস্যদের নামানো সাঁজোয়া যানের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে পুলিশ। ছবি: রয়টার্স
তুরস্কের বিচারমন্ত্রী বেকির বোজদারকে উদ্ধৃত করে রয়টার্স জানায়, ধর্মীয় নেতা ফেতুল্লাহ গুলেনের অনুসারী সৈন্যরা এই অভ্যুত্থানের চেষ্টা চালিয়েছিল।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র এই ঘটনায় এরদোয়ান সরকারের প্রতি পূর্ণ সমর্থন প্রকাশ করেছে। নেটোও তুরস্ক সরকারের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে।
এরআগে তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী বিনালি ইলদিরিমকে উদ্ধৃত করে স্থানীয় টেলিভিশনের খবরে বলা হয়, অভ্যুত্থানে জড়িত ১৩০ জন সেনা সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
টেলিভিশনের ছবিতে ইস্তানবুল ও আঙ্কারায় রাজপথে থাকা সেনা সদস্যদের পুলিশের কাছে অস্ত্র সমর্পণ করতে দেখা যায়। ট্যাংকগুলোতে উঠে সরকার সমর্থকদের উল্লাসের ছবিও এসেছে।