দেশের বিরাট একটি অংশ হচ্ছে নারী এই নারীদের বাদ দিয়ে সমাজ তথা দেশের সার্বিক উন্নয়ন করা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন মহিলা সংসদ সদস্য ফিরোজা বেগম চিনু। তিনি বলেন, কিশোর কিশোরীদের পরিপূর্ণ বিকাশ ও ক্ষমতায়নের প্রেক্ষাপট তৈরি করলে দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত হবে। দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে নারীদের শিক্ষিত করে গড়ে তোলা খুবই জরুরী। কিশোরীদের শিক্ষা স্বাস্থ্য ও সুস্থতার উপর নির্ভর করে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম। তিনি বলেন, মানসম্মত শিক্ষা একজন মা’কে স্বাস্থ্য সচেতন করে তোলে, যা পরবর্তী সময়ে তাদের সন্তানদের স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখে।
বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (২১জুলাই) রাঙ্গামাটি জেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের আয়োজনে পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউটে আয়োজিত র্যালী উত্তর আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংসদ সদস্য এ কথা বলেন।
রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমার সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে রাঙ্গামাটি সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) চিত্ত রঞ্জন পাল, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য জেবুন্নেসা রহিম, জেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপ-পরিচালক বেগম শাহান ওয়াজ, পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউটের অধ্যক্ষ মোঃ ওবায়দুর রহমান সরদার বক্তব্য রাখেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মহিলা সংসদ সদস্য ফিরোজা বেগম চিনু আরো বলেন, বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী জননত্রেী শেখ হাসিনা নারীদের উন্নয়নের কথা মাথায় রেখে গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রতিষ্ঠানে সংরক্ষিত নারী আসন রেখেছেন। যাতে করে দেশের উন্নয়নে নারীদের ভুমিকা থাকে। নারীদের শিক্ষাখাতে, লেকটেটিং মাদার প্রকল্প, কমিউনিটি ক্লিনিক, বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রশিক্ষণ প্রদানসহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা প্রদান করছে এই সরকার যা অন্য কোন সরকার এতো সুযোগ সুবিধা প্রদান করেনি। তিনি ডাক্তার ও সেবিকাদের উদ্দেশ্যে বলেন, হাসপাতাল কিংবা ক্লিনিকে গর্ভবতি ও অন্যান্য রোগিদের মাতৃ¯েœহে সেবা প্রদান করতে হবে। কারণ আজকে যে শিশুটি জন্মগ্রহণ করবে সে আমাদের আগামী দিনের ভবিষ্যৎ।
সভাপতির বক্তব্যে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা বলেন, পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি বিষয় ও স্বাস্থ্য সচেতনতার প্রচার প্রচারনা শুধু জেলা ও শহরে সীমাবদ্ধ না রেখে প্রত্যান্ত অঞ্চলের তৃণমূল মানুষদের কাছে পৌছাতে স্বাস্থ্যকর্মীদের পাশাপাশি সচেতন মহলদের এগিয়ে আসতে হবে। আর মানুষের মাঝে স্বাস্থ্য সচেতনতা বাড়াতে পারলে দেশের উন্নয়ন তরান্বিত হবে।
আলোচনা সভা শেষে জেলার বিভিন্ন উপজেলা, ইউনিয়ন, কমিউনিটি ক্লিনিক ও প্রাইভেট ক্লিনিকে রোগীদের সেবা প্রদানে অবদান রাখায় স্বাস্থ্য কর্মীদের সম্মাননা সনদপত্র বিতরণ করেন অতিথিরা।
এর আগে দিবসটি উপলক্ষে “কিশোরীদের জন্য বিনিয়োগ আগামী প্রজন্মের সুরক্ষা” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ প্রাঙ্গণ থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালী বের হয়। র্যালীটি শহরের বিশেষ বিশেষ পয়েন্ট ঘুরে পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউটে এসে শেষ হয়। র্যালীতে সিনিয়র স্টাফ নার্স, নার্সিং ইন্সটিটিউট, পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা ও প্রাইভেট ক্লিনিকের স্বাস্থ্যকর্মীরা অংশগ্রহণ করে।