গত ২১ মে ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু আঘাত হানার দিন উজানের বাসিন্দারা ওই বাঁধ কাটতে গেলে পুলিশ ও বন্দর কর্মচারীদের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়। সেদিনই মহেশখালের বন্দর রিপাবলিক ক্লাব সংলগ্ন অংশে নির্মিত বাঁধের স্লুইসগেট খুলে দেওয়া হয়।
রোববার রাতে বন্দরনগরীতে ভারি বর্ষণ শুরু হয়; সঙ্গে যোগ হয় জোয়ারের পানি। সোমবার দুপুরের পর বাঁধের স্লুইস গেইট খুলে দেওয়ার পর ডুবেছে দুই দিকের এলাকাই। মঙ্গল ও বুধবারও বৃষ্টি এবং জোয়ারের সময় পানি উঠে আসায় পরিস্থিতির তেমন কোনো উন্নতি দেখা যায়নি।
পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের হিসাব মতে, রোববার সন্ধ্যা ৬টা থেকে ২৪ ঘণ্টায় ১৬৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে; সঙ্গে যোগ হয়েছে জোয়ারের পানি।
সোমবার বেলা সাড়ে ১২টার পর বাঁধের ভাটিতে থাকা আগ্রাবাদ এক্সেস রোড, সিডিএ আবাসিক এলাকা, শিশু হাসপাতাল সংলগ্ন সড়ক, ব্যাপারি পাড়াসহ সংলগ্ন এলাকায় পানি উঠতে শুরু করে।
আর দেড়টার পর পানি উঠতে শুরু করে বাঁধের উজানে থাকা নিমতলা, আদর্শপাড়া, মুন্সীপাড়া, মাইজপাড়া, পোর্ট কলোনি, ইস্ট কলোনি, শান্তিবাগ আবাসিক এলাকা ও পোর্ট কানেকটিং সড়কে।
২৭ নম্বর দক্ষিণ আগ্রাবাদের কাউন্সিলর এইচ এম সোহেল বলেন, বেলা সাড়ে ১২টার পর থেকে পানি বাড়তে শুরু করে। সন্ধ্যা ৬টার পর নামতে শুরু করে।
“মহেশখালের সল্টগোলা এলাকায় স্থায়ী স্লুইস গেইট নির্মাণ না হলে এ সমস্যার সমাধান হবে না। কয়েকদিন আগেও বন্দর কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করে আলোচনা করেছি। তারা আশু কোনো সমাধানের আশ্বাস দিতে পারেনি।”