রাঙ্গামাটি পৌর মেয়রের আশ্বাসের প্রেক্ষিতে দীর্ঘ ১০ ঘন্টা পর রাঙ্গামাটি থেকে পণ্য পরিবহন শুরু

॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ রাঙ্গামাটি পৌর মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরীর আশ্বাসের প্রেক্ষিতে দীর্ঘ ১০ ঘন্টা পর রাঙ্গামাটি থেকে পণ্য পরিবহন শুরু হয়েছে। রাঙ্গামাটি পৌরসভার টোল আদায় কেন্দ্র করে গতকাল সকাল থেকে চলা সৃষ্ট দ্বন্ধ গতকাল সন্ধ্যায় শেষ হয়েছে। রাঙ্গামাটি পৌর মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরী ও রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক মোঃ মুছা মাতব্বরের আশ্বাসের প্রেক্ষিতে রাঙ্গামাটি জেলা সড়ক পরিবহন (ট্রাক) শ্রমিক ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দরা পণ্য পরিবহন শুরু করে। এর ফলে রাঙ্গামাটির কাঁচামাল ব্যবসায়ীরা স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছে।
গতকাল সকাল থেকে রাঙ্গামাটি পৌরসভার ও রাঙ্গামাটি জেলা সড়ক পরিবহন (ট্রাক) শ্রমিক ইউনিয়নের দ্বন্ধের কারণে বিপাকে পড়েছে কাঁচামাল ব্যবসায়ীরা। রাঙ্গামাটি পৌরসভার মেয়র কথা দিয়ে কথা না রাখায় গতকাল সকাল থেকে রাঙ্গামাটি সকল প্রকার পন্য পরিবহন বন্ধ করে দিয়েছে রাঙ্গামাটি জেলা সড়ক পরিবহন (ট্রাক) শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দরা। গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দরা মালামাল পরিবহন না করায় ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে কাঁচামাল পণ্য ব্যবসায়ীরা।
রাঙ্গামাটি জেলা সড়ক পরিবহন (ট্রাক) শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দরা দাবী করেন রাঙ্গামাটি শহর থেকে পণ্য পরিবহনে বেশ কয়েকটি স্থানে টোল দিতে হচ্ছে। এই টোলের কারণে ব্যবসায়ীদের সাথে সাথে ট্রাক মালিক শ্রমিকরা ও ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। তারা বলেন ট্রাকে পণ্য পরিবহন করছি আমরা এখানে কোন ব্যবাসয়ী বা পন্যের মালিক যায় না। আমরা তাদেরকে নির্ধারিত ভাড়া দিয়ে পণ্য গুলো রাঙ্গামাটি থেকে আনা নেয়া করি। তারা বলেন, রাঙ্গামাটি থেকে পণ্য নিয়ে যাওয়ার পন্যের উপর সকল ট্যাক্স ব্যবাসায়ী বহন করলেও রাঙ্গামাটিতে পণ্য নিয়ে আসার সময় কোন মালিক বা ব্যবসায়ী ট্রাকে থাকে না তাই ট্যাক্স বা টোল সব গুলো আমাদেরকেই বহন করতে হয়। তারা বলেন, রাঙ্গামাটি পৌরসভার নব নির্বাচিত মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরীর নির্বাচনী ওয়াদা ছিলো রাঙ্গামাটি শহরে পণ্য নিয়ে আসার সময় কোন প্রকার টোল নেয়া হবে না। তারই আলোকে সম্প্রতি মেয়রের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি পহেলা জুলাই থেকে রাঙ্গামাটিতে পণ্য নিয়ে আসার সময় কোন প্রকার টোল নেয়া হবে না। কিন্তু গতকাল সকাল থেকে আগের নিয়মে টোল নেয়া শুরু করেছে তাই এই সমস্যা সমাধান না হওয়া পর্যন্ত সকল পণ্য পরিবহন বন্ধ থাকবে।
রাঙ্গামাটি জেলা সড়ক পরিবহন (ট্রাক) শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মোঃ রুহুল আমিন বলেন, গতকাল সকালে আমি মেয়রকে বিষয়টি জানানো হলে তিনি বলেন, টোল আদায়কারী প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ করে সমস্যার সমাধানের প্রস্তাব দেয়। পরে তিনি বলেন, আগামী কয়েকদিনের মধ্যে সম্মিলিত বৈঠকের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করা হবে বলে জানালে তাকে আমাদের পক্ষ থেকে বলা হয় বৈঠক পর্যন্ত রাঙ্গামাটিতে পূণ্য পরিবহনের উপর টোল আদায় বন্ধ রাখার অনুরোধ জানালে তিনি কোন সদ উত্তর দেয়নি।
তিনি বলেন, আমরা পৌর ট্রাক টার্মিনালে ট্রাক রাখি টাকা দিয়ে কিন্তু এখানে কোন নাইটগার্ড নেই। প্রতিনিয়ত আমরা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছি। তিনি বলেন, আমাদের
এই বিষয়ে রাঙ্গামাটি পৌরসভার টোল আদায়কারী প্রতিষ্ঠানের মালিক মোঃ আবু সাঈদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়ন অযৌক্তিকভাবে আবদার শুরু করে দিয়েছে। তিনি বলেন, আমি সম্পূর্ণ পৌরসভার অর্ডারের ভিতিত্তেকে টোল আদায় করছি। এখানে কোন অনিয়ম বা অযৌক্তিক হচ্ছে না। তিনি বলেন, আমরা যে টোল আদায় করছি তা ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্য ও ট্রাক মালিকরা দেয় না। এই টোল গুলো যারা পন্য নিয়ে আসে তারাই দিয়ে থাকে। তিনি বলেন, ট্রাকের শ্রমিকরা রাঙ্গামাটিতে যেভাবে ময়লা আবর্জনা করে তা পৌর কর্তৃপক্ষই পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা কাজ করে। তাতে করে মাত্র ৫০ টাকা টোল এটা কোন বড় বিষয় নয়।
রাঙ্গামাটি জেলা ট্রাক মিনিট্রাক যৌথ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ সেকান্দর হোসেন চৌধুরী জানান, গতকাল সকাল থেকে রাঙ্গামাটির ট্রাক শ্রমিকদের দাবীর মুখে পণ্য পরিবহন বন্ধ ছিলো। সারাদিন বিভিন্ন ভাবে মেয়রের সাথে আলাপ আলোচনার পর গতকাল সন্ধ্যায় পৌর মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরী ও আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক মোঃ মুছা মাতব্বরের আশ্বাসের প্রেক্ষিতে গতকাল সন্ধ্যার পর থেকে আবারো পণ্য পরিবহন শুরু করেছে ট্রাক শ্রমিকরা। তিনি বলেন, ঈদের পরে এই বিষয়ে যৌথ বৈঠকের মাধ্যমে এ সমস্যা সমাধান করা হবে।
এই বিষয়ে রাঙ্গামাটি পৌর মেয়রের সাথে তার মুঠো ফোনে যোগাযোগের বেশ কয়েকবার চেষ্টা করা হলে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।
এদিকে কয়েকজন কাঁচা মাল পণ্য ব্যবসায়ী বলেন, পৌর মেয়র ও ট্রাক শ্রমিকদের দ্বন্ধের কারণে আজ আমরা লক্ষ লক্ষ টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছি। তাদের মধ্যে যদি কোন সুরাহা না হয় তাহলে আমাদের এই পণ্য গুলো সব নষ্ট হয়ে যাবে। তারা বলেন, ট্রাক শ্রমিক নেতৃবৃন্দ যদি আমাদেরকে এই বিষয়ে আগে বলতো তাহলে আমরা কাঁচামাল ক্রয় করতাম না। তারা যদি আমাদেরকে বলতো তাহলে আমরা তাদের সাথে সমন্বয় করে আন্দোলন চালিয়ে যেতাম।

মুক্ত গণমাধ্যম চাই : সকল গণমাধ্যমে এক নীতিমালা, তথাকথিত ওয়েজ বোর্ড বাতিল, নিজস্ব বেতন বোর্ড, বিজ্ঞাপন ও ক্রোড়পত্র নীতিমালা নিয়ন্ত্রণ মুক্ত, প্রয়োজনীয় কাঁচামালের মূল্য কমানো ও মফস্বলের পত্রিকাগুলো সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করে টিকিয়ে রাখতে হবে

Archive Calendar
Sat Sun Mon Tue Wed Thu Fri
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
3031