শনিবার সকালে গাজীপুরের চন্দ্রায় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক পরিদর্শন শেষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ওই রাস্তার কাজের মান নিয়ে আমি খুশি নই। দুই বছর আগে নবীনগর-চন্দ্রা চার লেনের কাজ শেষ হয়েছে। সেখানে একটু বৃষ্টি হলেই গর্ত হয়ে যায়, অনেক গর্ত।
সড়ক ও জনপথকে মেরামত করতে বলেছেন। মেরামত কাজ এখনও শেষ হয়নি বলে জানান তিনি।
“আমি রাস্তায় গেলেই আমার সামনে একটি গাড়ি নিয়ে চুলা জ্বালিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। তারপর আর কাজ হয় না। এটা খুব দুর্ভাগ্যজনক,” বলেন মন্ত্রী।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, রাস্তায় যারা চলেন তারা যদি শৃঙ্খলা না মানেন তাহলে চার লেন করে কী হবে, আট লেন করে কী হবে! বিআরটি, কর্ণফুলি টানেল, চার লেন, আট লেন সবই করা যাবে।
কিন্তু পরিবহনে এবং রাস্তায় শৃঙ্খলা ফিরে না আসলে এবং সবাই মিলে চেষ্টা না করলে, মানসিকতার পরিবর্তন না করলে কোনো লাভ নেই বলে তিনি মনে করেন।
“এসব চার লেন, আট লেন ফ্লাইওভার, মেট্রো রেল এগুলো কোনো কাজে আসবে না,” বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, ঢাকায় এখন মোটরসাইকেলে তিনজন আরোহী চড়া প্রায় ৯০ ভাগ বন্ধ করা গেছে। কিন্তু সারাদেশে এটি বন্ধ হয়নি, অনেক রাজনৈতিক কর্মীরা তা মানে না, তারা তিনজন করে মোটরসাইকেলে চড়বে এবং কোনো হেলমেট ব্যবহার করবে না।
“অনেক পাতি নেতা, সিকি নেতাদের ব্যানার, বিলবোর্ডে মহাসড়ক ফের ছেয়ে গেছে। এসব নেতাদের ছবির ভিড়ে বঙ্গবন্ধু ও নেত্রী শেখ হাসিনার ছবি খুঁজে পাওয়া দায়।”
এ সময় সড়ক ও জনপথের ঢাকা সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সবুজ উদ্দিন খান, গাজীপুর মহাসড়ক পুলিশ সুপার সফিকুর রহমানসহ সড়ক ও জনপথ এবং পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।