গণতন্ত্রের উদ্ধারের আন্দোলনে সকলকে একতাবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে-
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের স্থায়ী কমিটির নবনির্বাচিত সদস্য হিসেবে চট্টগ্রাম সফরে প্রথম দিনে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী আজ সকালে চট্টগ্রাম বিমান বন্দর হতে সরাসরি জমিয়াতুল ফালাহ্ মসজিদ প্রাঙ্গনে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রফেসর ড. আ ন ম মুনির আহমেদ চৌধুরীর জানাযায় অংশ নেন। জানাযা শেষে সকাল সাড়ে দশটায় নাসিমন ভবন দলীয় কার্য্যলয়ে নেতাকর্মীদের সাথে সংক্ষিপ্ত মতবিনিময় করেন। এসময় জনাব খসরু বলেন, দেশ এখন চরম ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। দেশে গণতন্ত্র নেই, প্রতিনিয়ত মানবাধিকার ভুলন্ঠিত হচ্ছে, জনগণ ভোটাধিকার হারিয়েছে। গণতন্ত্রের পুনঃরুদ্ধারে, ভোটাধিকার, মানবাধিকার ফিরিয়ে পাওয়ার লক্ষ্যে ও জাতীয়তাবাদী শক্তি একতাবদ্ধভাবে কাজ করার জন্য বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল নবীন ও প্রবীনদের সমন্বয়ে আন্দোলন সংগ্রামে যারা ত্যাগ স্বীকার ও মামলা-হামলা স্বীকার হয়েছেন তাদেরকে নিয়ে একটি নতুন কমিটি উপহার দিয়েছেন। কমিটি দেওয়ার পর এখন মুল লক্ষ্য হচ্ছে একতাবদ্ধভাবে কাজ করা এবং দলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে সকলকে একতাবদ্ধভাবে গনতন্ত্র উদ্ধারের আন্দোলনে অংশ নিতে হবে। তিনি আরো বলেন, দেশের জনগণ আওয়ামীলীগের দুঃশাসন থেকে মুক্তি চায়। দেশের প্রতিটি সেক্টর দলীয় করণে পরিণত করা হয়েছে। এভাবে একটি দেশ চলতে পারে না। জনাব খসরু এরকম একটি দায়িত্ব অর্পন করায় দলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা বেগম রোজি কবির বলেন, নবগঠিত কেন্দ্রিয় কমিটি তৃণমুল পর্যায়ে দলকে সুসংগঠিত করার জন্য সচেস্ট থাকবে। কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শামীম বলেন, জুলুম নির্যাতন করেও সরকার জাতীয়তাবাদী দলে অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করতে পারবে না। মহানগর বিএনপির সভাপতি ডাঃ শাহাদাত হোসেন বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে চট্টগ্রাম থেকে আগামী দিনে গণআন্দোলন গড়ে তুলা হবে। গণআন্দোলনের মাধ্যমে সরকারের পতন করা হবে। মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসেম বক্কর বলেন, জেল-জুলুম, মামলা-হামলা করে আওয়ামীলীগ তাদের পতন ঠেকাতে পারবে না। মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ান বলেন, এই সরকারের পতন ছাড়া জনগণের মুক্তি আসবে না। এছাড়াও কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হারুনউর রশিদ উপস্থিত ছিলেন। মতবিনিময় সভা শেষে জনাব খসরু নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে বিপ্লব উদ্যানে পুস্পস্তবক অর্পন করেন। সেখানে থেকে তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সিইউএফএল এর গ্যাসে অসুস্থদের দেখতে যান এবং তাঁদের সার্বিক খোজ খবর নেন। সকল কর্মসূচিতে ১১ থানা, ৪১টি ওয়ার্ডের সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক ও মহানগর অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।