শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মইনুল খান জানান, নগরীর আমিরবাগ আবাসিক এলাকা থেকে ‘রেঞ্জ রোভার’ এবং অলংকার মোড়ের একটি পেট্রোল পাম্প থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় একটি ‘পোরশে’ গাড়ি উদ্ধার করা হয়। শুল্কসহ যুক্তরাজ্যে তৈরি ‘রেঞ্জ রোভারের’ বাজার মূল্য পাঁচ কোটি এবং জার্মানির তৈরি ‘পোরশে’ গাড়িটির দাম ছয় কোটি টাকা বলে শুল্ক কর্মকর্তারা জানান। রেঞ্জ রোভার গাড়িটি ২০০২ মডেলের চার হাজার ৬০০ সিসির। আর পোরশে গাড়িটি ২০০৪ মডেলের সাড়ে চার হাজার সিসির। শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মইনুল বলেন, রেঞ্জ রোভার গাড়িটির মালিক বৈধ রেজিস্ট্রেশন বা আমদানি সংক্রান্ত কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। “প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি গাড়িগুলো কারনেট সুবিধায় বিনা শুল্কে আমদানি করা হয়েছে।” অন্যদেশের পাসপোর্টধারী কেউ বাংলাদেশে আসার সময় কারনেট সুবিধায় নিজের ব্যবহারের জন্য বিনা শুল্কে গাড়ি আমদানি করতে পারেন। তবে এক বছর পর এ ধরনের গাড়ির ক্ষেত্রে ৮৩৩ শতাংশ শুল্ক পরিশোধের নিয়ম রয়েছে বলে শুল্ক কর্মকর্তারা জানান। ড. মইনুল খান বলেন, গাড়িগুলোর মালিক ও আমদানিকারকের তথ্য যাচাই করা হচ্ছে। এরপর তাদের বিরুদ্ধে পৃথক মামলা করা হবে। চট্টগ্রামে এ ধরনের আরও গাড়ির বিষয়ে অনুসন্ধান চলছে বলেও জানান তিনি।