চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের দ্বন্ধে ফেঁসে গেলেন ওসি আজিজ
ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের দ্বন্ধে ফেঁসে গেলেন নগরীর চকবাজার থানার ওসি আজিজ আহমেদ। অবশেষে তাঁকে স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়েছে। চট্টগ্রাম কলেজে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ছাত্রলীগের দু গ্রুপের সংঘর্ষের পর পাল্টাপাল্টি মামলা হয়।
রনি গ্রুপের দায়ের করা মামলার আসামি যুবলীগ নেতা নুর মোস্তফা টিনুর সাথে থানায় একান্ত বৈঠকের অভিযোগে তাঁকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
সন্ত্রাসী টিনু’র সাথে ওসি’র বৈঠকের প্রমাণ পেয়েই নগরীর ওসি আজিজ আহমেদকে তাৎক্ষণিক বদলি (স্ট্যান্ড রিলিজ) আদেশ দেন খোদ সিএমপি কমিশনার ইকবাল বাহার।
সুত্র জানায়, রোববার (৭জুলাই) গভীর রাতে আজিজ আহমেদকে বদলির আদেশ দিলেও বিষয়টি গোপন ছিল। মঙ্গলবার তা রনি সমর্থকদের মাধ্যমে প্রকাশ হয় ।
অনতিবিলম্বে তাকে নগর পুলিশের বিশেষ শাখায় যোগ দেয়ার নির্দেশ দেন সিএমপি কমিশনার মো.ইকবাল বাহার।
একইসঙ্গে কর্ণফুলি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো.নূরুল হুদাকে চকবাজার থানার ওসি হিসেবে যোগ দেয়ার আদেশ দেয়া হয়। সোমবার নতুন ওসি নূরুল হুদা চকবাজার থানায় যোগ দিয়েছেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে মিজানুর রহমান নামে আরেক শিক্ষার্থীকে নিয়ে নূরুল আজিম রণির বিরুদ্ধে মামলা করতে থানায় যান চকবাজার এলাকার চিহ্নিত চাঁদাবাজ সন্ত্রাসী টিনু। এসময় টিনু ও মিজানুর রহমান ওসি আজিজের সামনে বসে মামলার এজাহার তৈরি করছিলেন। মামলার আসামি টিনু জামিন না নিয়ে থানার ওসির সঙ্গে বৈঠকের ঘটনা জানাজানি হলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয় রণির অনুসারী নেতাকর্মীদের মধ্যে।
রাত নূরুল আজিম রণি বিষয়টি সিএমপি কমিশনার মো.ইকবাল বাহারকে জানান। অভিযোগের সত্যতা পেয়ে রাতেই সিএমপি কমিশনার ওসি আজিজকে বদলির আদেশ দেন। চট্টগ্রাম কলেজে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সাথে সংর্ঘষের সময় টিনু পুলিশের সাথে হাতাহাতিতে লিপ্ত হয়।
এ ব্যাপারে নগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নূরুল আজিম রণি পাঠক ডট নিউজকে বলেন, টিনু মামলার আসামি। পুলিশের উচিৎ ছিল তাকে গ্রেফতার করা। কিন্তু সেটা না করে টিনু থানায় ওসির সঙ্গে বসে কথা বলছিলেন। আমি পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের প্রমাণসহ এ বিষয়ে অভিযোগ করেছিলাম।
এদিকে গত ৩১ জুলাই সংঘর্ষের ঘটনায় টিনুর দায়ের করা মামলায় চকবাজারের এক ব্যবসায়ীকে আসামী এজাহার ভূক্ত করার অভিযোগও উঠে ওসি আজিজের বিরুদ্ধে।
গত বছরের ১৬ ডিসেম্বর শিবিরের কাছ থেকে দখলমুক্ত করার পর ঐতিহ্যবাহী চট্টগ্রাম সরকারি কলেজে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ছাত্রলীগের মধ্যে দুটি গ্রুপিং সৃষ্টি হয়। এক গ্রুপের নেতৃত্বে নগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নূরুল আজিম রণি অপর গ্রুপের নেতৃত্ব দিচ্ছেন কোন ধরনের পদ-পদবিতে না থাকলেও যুবলীগ নেতা হিসেবে পরিচিত নুর মোস্তফা টিনু।
রনির গ্রুপে চট্টগ্রাম কলেজের নিয়মিত শিক্ষার্থীরা থাকলেও টিনুর গ্রুপে চকবাজার এলাকার বহিরাগতরা সক্রিয় বলে অভিযোগ রয়েছে। ওসি আজিজ আহমেদের বিরুদ্ধে টিনুর পক্ষ নিয়ে বহিরাগতদের পৃষ্ঠপোষকতার অভিযোগ রয়েছে।
এছাড়া ছাত্রলীগের নাম ব্যবহার করে যুবলীগ নেতা টিনু চক বাজার কেন্দ্রিক চাঁদাবাজির এক বিশাল সম্রাজ্য গড়ে তোলে। টিনুর মাধ্যমে চকবাজার কেন্দ্রিক আদায়কৃত এসব চাঁদার একাংশ ওসি আজিজ আহমেদ পান বলেও অভিযোগ রয়েছে।
সিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) দেবদাস ভট্টাচার্য পাঠক ডট নিউজকে বলেন, ওসি আজিজকে সিটি স্পেশাল ব্রাঞ্চে দেয়া হয়েছে। এটা কমিশনার স্যার উনার নির্বাহী ক্ষমতাবলে করেছেন।
আধিপত্য বিস্তারের জের ধরে গত পাঁচ মাসে চট্টগ্রাম কলেজে রণি ও টিনু গ্রুপের মধ্যে বেশ কয়েকবার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
গত ৩১ জুলাই সংঘর্ষের পর টিনুর বিরুদ্ধে অস্ত্র ও বোমাবাজির অভিযোগে ৫ আগস্ট চকবাজার থানায় একটি মামলা দায়ের করেন চট্টগ্রাম কলেজের শিক্ষার্থী মো.আসাদুজ্জামান।চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের দ্বন্ধে ফেঁসে গেলেন ওসি আজিজ
ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের দ্বন্ধে ফেঁসে গেলেন নগরীর চকবাজার থানার ওসি আজিজ আহমেদ। অবশেষে তাঁকে স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়েছে। চট্টগ্রাম কলেজে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ছাত্রলীগের দু গ্রুপের সংঘর্ষের পর পাল্টাপাল্টি মামলা হয়।
রনি গ্রুপের দায়ের করা মামলার আসামি যুবলীগ নেতা নুর মোস্তফা টিনুর সাথে থানায় একান্ত বৈঠকের অভিযোগে তাঁকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
সন্ত্রাসী টিনু’র সাথে ওসি’র বৈঠকের প্রমাণ পেয়েই নগরীর ওসি আজিজ আহমেদকে তাৎক্ষণিক বদলি (স্ট্যান্ড রিলিজ) আদেশ দেন খোদ সিএমপি কমিশনার ইকবাল বাহার।
সুত্র জানায়, রোববার (৭জুলাই) গভীর রাতে আজিজ আহমেদকে বদলির আদেশ দিলেও বিষয়টি গোপন ছিল। মঙ্গলবার তা রনি সমর্থকদের মাধ্যমে প্রকাশ হয় ।
অনতিবিলম্বে তাকে নগর পুলিশের বিশেষ শাখায় যোগ দেয়ার নির্দেশ দেন সিএমপি কমিশনার মো.ইকবাল বাহার।
একইসঙ্গে কর্ণফুলি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো.নূরুল হুদাকে চকবাজার থানার ওসি হিসেবে যোগ দেয়ার আদেশ দেয়া হয়। সোমবার নতুন ওসি নূরুল হুদা চকবাজার থানায় যোগ দিয়েছেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে মিজানুর রহমান নামে আরেক শিক্ষার্থীকে নিয়ে নূরুল আজিম রণির বিরুদ্ধে মামলা করতে থানায় যান চকবাজার এলাকার চিহ্নিত চাঁদাবাজ সন্ত্রাসী টিনু। এসময় টিনু ও মিজানুর রহমান ওসি আজিজের সামনে বসে মামলার এজাহার তৈরি করছিলেন। মামলার আসামি টিনু জামিন না নিয়ে থানার ওসির সঙ্গে বৈঠকের ঘটনা জানাজানি হলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয় রণির অনুসারী নেতাকর্মীদের মধ্যে।
রাত নূরুল আজিম রণি বিষয়টি সিএমপি কমিশনার মো.ইকবাল বাহারকে জানান। অভিযোগের সত্যতা পেয়ে রাতেই সিএমপি কমিশনার ওসি আজিজকে বদলির আদেশ দেন। চট্টগ্রাম কলেজে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সাথে সংর্ঘষের সময় টিনু পুলিশের সাথে হাতাহাতিতে লিপ্ত হয়।
এ ব্যাপারে নগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নূরুল আজিম রণি পাঠক ডট নিউজকে বলেন, টিনু মামলার আসামি। পুলিশের উচিৎ ছিল তাকে গ্রেফতার করা। কিন্তু সেটা না করে টিনু থানায় ওসির সঙ্গে বসে কথা বলছিলেন। আমি পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের প্রমাণসহ এ বিষয়ে অভিযোগ করেছিলাম।
এদিকে গত ৩১ জুলাই সংঘর্ষের ঘটনায় টিনুর দায়ের করা মামলায় চকবাজারের এক ব্যবসায়ীকে আসামী এজাহার ভূক্ত করার অভিযোগও উঠে ওসি আজিজের বিরুদ্ধে।
গত বছরের ১৬ ডিসেম্বর শিবিরের কাছ থেকে দখলমুক্ত করার পর ঐতিহ্যবাহী চট্টগ্রাম সরকারি কলেজে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ছাত্রলীগের মধ্যে দুটি গ্রুপিং সৃষ্টি হয়। এক গ্রুপের নেতৃত্বে নগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নূরুল আজিম রণি অপর গ্রুপের নেতৃত্ব দিচ্ছেন কোন ধরনের পদ-পদবিতে না থাকলেও যুবলীগ নেতা হিসেবে পরিচিত নুর মোস্তফা টিনু।
রনির গ্রুপে চট্টগ্রাম কলেজের নিয়মিত শিক্ষার্থীরা থাকলেও টিনুর গ্রুপে চকবাজার এলাকার বহিরাগতরা সক্রিয় বলে অভিযোগ রয়েছে। ওসি আজিজ আহমেদের বিরুদ্ধে টিনুর পক্ষ নিয়ে বহিরাগতদের পৃষ্ঠপোষকতার অভিযোগ রয়েছে।
এছাড়া ছাত্রলীগের নাম ব্যবহার করে যুবলীগ নেতা টিনু চক বাজার কেন্দ্রিক চাঁদাবাজির এক বিশাল সম্রাজ্য গড়ে তোলে। টিনুর মাধ্যমে চকবাজার কেন্দ্রিক আদায়কৃত এসব চাঁদার একাংশ ওসি আজিজ আহমেদ পান বলেও অভিযোগ রয়েছে।
সিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) দেবদাস ভট্টাচার্য পাঠক ডট নিউজকে বলেন, ওসি আজিজকে সিটি স্পেশাল ব্রাঞ্চে দেয়া হয়েছে। এটা কমিশনার স্যার উনার নির্বাহী ক্ষমতাবলে করেছেন।
আধিপত্য বিস্তারের জের ধরে গত পাঁচ মাসে চট্টগ্রাম কলেজে রণি ও টিনু গ্রুপের মধ্যে বেশ কয়েকবার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
গত ৩১ জুলাই সংঘর্ষের পর টিনুর বিরুদ্ধে অস্ত্র ও বোমাবাজির অভিযোগে ৫ আগস্ট চকবাজার থানায় একটি মামলা দায়ের করেন চট্টগ্রাম কলেজের শিক্ষার্থী মো.আসাদুজ্জামান।