॥ লিটন ভট্টাচার্য্য রানা, খাগড়াছড়ি ॥ খাগড়াছড়ির মহালছড়ি ও রাঙ্গামাটির নানিয়ারচর সীমান্তবর্তী মধ্য আদামপাড়া এলাকায় সেনাবাহিনীর ও উপজাতীয় সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের মধ্যে গুলিবিনিময়ের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (১২ আগষ্ট) সকাল ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। তবে এ ঘটনায় হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। সেনাবাহিনীর খাগড়াছড়ি রিজিয়নের জিটু আই মেজর সেলিম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সকালে সেনাবাহিনী মধ্য আদামপাড়া এলাকায় অভিযানে গেলে সেখানে আগে থেকে অবস্থান নেওয়া সশস্ত্র উপজাতীয় সস্ত্রাসীরা সেনাবাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এ সময় সেনাবাহিনীও পাল্টা গুলি চালায়।
তিনি আরো জানান, বসতিপূর্ণ এলাকা হওয়ায় নিরীহ পুরুষ, মহিলা ও শিশুদের রক্ষার্থে সামরিক অপারেশন পরিচালনা করতে সেনাবাহিনীকে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়। সতর্কতা নিয়েই সেনাসদস্যরা পাল্টাগুলি বর্ষণ করতে থাকে। এসময় নিরীহ জনগনকে ঢাল হিসাবে ব্যবহার করে ইউপিডিএফ সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
এদিকে সন্ত্রাসীদের সাথে গুলি বিনিময়ের সময় ঘটনাস্থলেই দুই সেনা সদস্য পায়ে ও হাঁটুতে হালকা গুলি বিদ্ধ হয় বলে জানা গেছে। আহত সেনা সদস্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার পর ভাল পরিচর্যার জন্য হেলিকপ্টারে করে স্থানীয় সামরিক হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। বর্তমানে তারা সকলে সুস্থ আছেন বলে জানা গেছে।
সেনাসদস্যদের সাথে গুলি বিনিময়ে টিকতে না পেরে পালিয়ে যাওয়ার সময় ইউপিডিএফ সন্ত্রাসীরা তাদের বেশকিছু সামরিক পোশাক ও সামরিক সরঞ্জাম ফেলে যায়। সেনাবাহিনী সেগুলো উদ্ধার করেছে। উদ্ধারকৃত বিভিন্ন ডকুমেন্ট থেকে ইউপিডিএফের বিভিন্ন সমর কৌশল ও সামরিক পরিকল্পনার তথ্য পাওয়া যাচ্ছে বলে জানা গেছে।
এদিকে, সেনাবাহিনী ঘটনাস্থল ও এর আশপাশ এবং পাশ্ববর্তী নানিয়ারচর উপজেলার বিভিন্ন স্থান ঘিরে এখনো তল্লাশি চালিয়ে যাচ্ছে।
অন্যদিকে, ইউপিডিএফ রাঙ্গামাটি ইউনিটের সংগঠক সচল চাকমা এ ঘটনায় সেনাবাহিনী কর্তৃক ১৪ জন আটকের অভিযোগ এনে প্রতিবাদ জানিয়েছেন।