॥ লিটন ভট্টাচার্য্য রানা, খাগড়াছড়ি ॥ খাগড়াছড়ি শহরস্থ মহাজন পাড়া জনবল বৌদ্ধ বিহারে, শ্রদ্ধেয় ভদন্ত চন্দ্রমণি মহাস্থবিরের জীবনাবসান উপলক্ষে শুক্রবার (৫আগষ্ট) ধর্মীয় অনুষ্টান অনুষ্টিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী, সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান চাইথোং মারমা, জেলা আওয়ামী লীগের সহ- সভাপতি কল্যাণ মিত্র বড়–য়া, জনবল বৌদ্ধ বিহারের সভাপতি প্রয়িতোষ চাকমা।
অনুষ্টানে খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি বান্দরবান থেকে হাজারো ধায়ক/.দায়ীকা জীবনাসান অনুষ্টানে উপস্থিত হন।
প্রধান অতিথি ধর্মীয় গুরুদের প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন, আপনাদের কাছে ধায়ক/ দায়িকারা ধর্মীয় কথা শুনতে আসে তাদেরকে বুঝান। দেশে যে ভাবে সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ উত্থান হচ্ছে এটাকে নির্মূল করতে ধর্মীয় গুরুদের এগিয়ে আসতে হবে। এরা আমাদের দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে তখন বিপতগামী কিছু ছাত্রদের দিয়ে দেশে সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ সৃষ্টি করতে পায়তারা চলাছে, কিন্তু দেশের জনগণ এটাতে পতিহত করতে সাড়া দেশে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা জঙ্গিবাদ বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। কারণ এই দেশর সকল সম্প্রদায়ের মানুষ শান্তিতে বসবাস করতে চাই। শিক্ষায়, উন্নয়ন এগিয়ে যাচ্ছে তারা এটাকে বাঁধা সৃষ্টি করছে গোষ্টি।
খাগড়াছড়ির মহাজন পাড়া জনবল বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ, আলুটিলা ধাতু চৈত্য বৌদ্ধ বিহারের প্রতিষ্ঠাতা, বিশিষ্ট বৌদ্ধ সাধক ও ধর্মীয় গুরু ভদন্ত চন্দ্রমণি মহাস্থবিরের জীবনাবসান হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) ভোর সোয়া চারটায় নিজ বিহারে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর। বৈদ্য ভান্তে নামে তিনি সমধিক পরিচিত ছিলেন।
আগামী বছর জানুয়ারীতে তার শেষকৃত্য অনুষ্ঠান সম্পন্ন করা হবে বলে বিহার পরিচালনা কমিটির সূত্রে জানা গেছে। চলমান বর্ষাবাসের পুরো তিন মাস তাকে জনবল বৌদ্ধ বিহারে রাখা হবে। এরপর তাকে তার নিজের প্রতিষ্ঠিত আলুটিলা ধাতু চৈত্য বৌদ্ধ বিহারে নেয়া হবে এবং সেখানেই তার শেষকৃত্য অনুষ্ঠান সম্পন্ন করা হবে। ১৯৪৯ সালের ১৪ জুন এক সদ্ধর্মপ্রাণ ত্রিপুরা পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন।