॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ রাঙ্গামাটি পৌরসভার ১ লক্ষ ২০ মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে অবৈধ দখলদার একটি মুক্তিযোদ্ধা পরিবার বলে অভিযোগ করেছেন রাঙ্গামাটি পৌরসভার মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরী। তিনি বলেন, রাঙ্গামাটি পৌরসভাকে একটি আধুনিক পৌরসভায় রূপান্তর করতে মাষ্টার প্লানে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যা”িছ। তারই সুবাধে রাঙ্গামাটি পৌরসভার জন্য একটি আধুনিক পৌরভবন নির্মাণ করা খুবই জরুরী। কিš‘ একটি মুক্তিযোদ্ধা পরিবার পৌরসভার নিজস্ব জায়গা অবৈধ ভাবে দখল করে রাখায় পৌরভবন তৈরীতে বাধা গ্র¯’ হ”িছ। তিনি রাঙ্গামাটি বাসীকে একটি আধুনিক পৌর ভবন উপহার দিতে পুরো রাঙ্গামাটি বাসীর সহযোগিতা চেয়েছেন।
গতকাল রাঙ্গামাটি পৌরসভার আধুনিক পৌরভবন নির্মাণ বিষয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে দৈনিক গিরিদর্পণ সম্পাদক এ,কে,এম মকছুদ আহমেদ, রাঙ্গামাটি প্রেস ক্লাব সভাপতি সাখাওয়াৎ হোসেন রুবেল, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার আল হক, সিএইচটিটুয়েন্টিফোরের সম্পাদক শামসুল আলম, রাঙ্গামাটি সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি নন্দন দেবনাথ, সাধারণ সম্পাদক মিল্টন বাহাদুর, প্রথম আলোর সাংবাদিক হরি কিশোর চাকমা, এটিএন বাংলা প্রতিনিধি পুলক চক্রবর্তী সহ অন্যান্য সাংবাদিকরা উপ¯ি’ত ছিলেন।
মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরী তার বক্তব্যে বলেন, রাঙ্গামাটি পৌরসভার নিজস্ব জায়গা গুলো ক্রমান্বয়ে উদ্ধারের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সারা বাংলাদেশের পৌরসভার নতুন ভবন নির্মাণের জন্য দুই কোটি টাকার ও বেশী বরাদ্ধ দিয়েছে মন্ত্রনালয়। কিš‘ রাঙ্গামাটি পৌরসভা ভৌগলিক অব¯’ার কথা চিন্তা করে মন্ত্রনালয় থেকে এই বরাদ্ধ বাড়িয়ে প্রায় ৫ কোটি টাকার মতো করা হয়েছে। কিš‘ একটি মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের জন্য আমরা দীর্ঘ ৯ মাস ধরে এই পৌর ভবনের কাজ শুরু করতে পারছি না। তিনি বলেন, এই মুক্তিযোদ্ধা পরিবার অবৈধ ভাবে রাঙ্গামাটি পৌরসভার জায়গা দখল করে সাইন্ড বোর্ড লাগিয়ে দিয়েছে। এই পরিবারকে আমি শুধু নয় বিগত দিনে আরো দুজন মেয়র সহযোগিতা করে ছিলো। আমাদের আন্তরিকতা ও সরলতার সুযোগ নিয়ে আইনকে অমান্য করে অবৈধ ভাবে গায়ের জোরে বসবাস শুরু করেছে।
তিনি বলেন তার সাথে আমাদের পৌর কাউন্সিলার, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের নেতৃবৃন্দরা দফায় দফায় কথা বলেছে কিš‘ তিনি কারো কথা শুনতে রাজী নয়। তিনি বলেন, রাঙ্গামাটি পৌরসভার এই জায়গা উদ্ধার এবং অবৈধ দখলদারদের সরানোর পরিপ্রেক্ষিতে শিমুল তলী এলাকায় তাদেরকে জায়গার ব্যব¯’া করে দেয়া হয়েছে। কিš‘ এই মুক্তিযোদ্ধা পরিবার এই জায়গা ছেড়ের যেতে রাজি হ”েছ না। তার দাবী অনুসারে ৭ নং ওয়ার্ডে একটি জায়গা ক্রয় করে তাকে দেয়া হয়েছে কিš‘ তিনি তাতেও যেতে রাজি হ”েছ না। তিনি একেক জনকে একেক কথা বলছে। বর্তমানে তিনি আমাদের কাছে ৩০ লক্ষ টাকা দাবী করছে।
তিনি বলেন, আমরা আদালত থেকে উ”েছদ অর্ডার পেয়ে গেছি। কিš‘ মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের প্রতি সম্মান দেখিয়ে আমরা এখনো উ”েছদ কার্যক্রম পরিচালনা করছি না। তিনি বলেন, সাংবাদিকরা জাতির বিবেক। তাই রাঙ্গামাটি পৌর এলাকার ১ লক্ষ ২০ হাজার মানুষের জন্য নতুন ভবন তৈরীতে সহযোগিতা চেয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, আমরা জেলা প্রশাসনকে পত্র দিয়েছি হয়তো যে কোন মুহুর্তে উ”েছদ অভিযান পরিচালনা হতে পারে। তার পর আমরা এই পরিবারটিকে সম্মানের সাথে আমাদের সাথে কথা বলে সমস্যার সমাধানে পৌরসভার সভার বৈধ জায়গা থেকে সরে গিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান জানানোর আহবান জানান।