শনিবার বিকাল ৪টায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর এই সংবাদ সম্মেলন হবে বলে তার উপ প্রেস সচিব আশরাফুল আলম জানিয়েছেন।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে প্রধানমন্ত্রী সংবাদ সম্মেলন করবেন।
ভারতের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে রামপালে যে তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র হচ্ছে, তা বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনের পরিবেশ ও প্রতিবেশ হুমকিতে ঠেলে দেবে বলে আশঙ্কা পরিবেশবাদীদের একাংশ ও বাম দলগুলোর। ওই প্রকল্প বাতিলের দাবিতে তারা আন্দোলনও চালিয়ে আসছে।
বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া রামপাল প্রকল্পকে ‘দেশবিরোধী’ আখ্যা দিয়ে সুন্দরবনের কাছ থেকে অন্য এলাকায় সরিয়ে নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র বাতিলের দাবিতে বাম দলগুলোর সমর্থনে আন্দোলনরত তেল-গ্যাস রক্ষা কমিটির ‘চল চল ঢাকা চল’ ও ‘মহাসমাবেশ’ কর্মসূচিতে এর মধ্যেই সমর্থন জানিয়েছে বিএনপি।
বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে শঙ্কার জবাবে সরকার বলছে, সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে দূষণের মাত্রা ন্যূনতম রেখেই এই তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র হচ্ছে, যা সুন্দরবনের প্রাকৃতিক পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত করবে না।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের অধীন প্রকল্প হিসেবে ভারতের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে রামপালে ১৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতার কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের কাজ চলছে।
‘মৈত্রী সুপার থারমাল’ নামের এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি সুন্দরবনের ইউনেস্কো ঘোষিত হেরিটেজ অংশ থেকে ৬৯ কিলোমিটার এবং সুন্দরবনের প্রান্তসীমা থেকে ১৪ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
রামপালে এই বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের জন্য ২০১১ সালের অক্টোবরে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড এবং ভারতের ন্যাশনাল থার্মাল পাওয়ার করপোরেশন লিমিটেডের (এনটিপিসি) সমান অংশীদারিত্বে গঠিত বাংলাদেশ-ভারত ফ্রেইন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড প্রকল্পটি ২০১৮ সালের মধ্যে বাস্তবায়নের কথা রয়েছে।