শিরোনাম
প্রচ্ছদ / জাতীয় / জেলা পরিষদ আইন অনুমোদন, ডিসেম্বর নির্বাচনের ইঙ্গিত

জেলা পরিষদ আইন অনুমোদন, ডিসেম্বর নির্বাচনের ইঙ্গিত

জনপ্রতিনিধিদের ভোটে জেলা পরিষদে পরোক্ষ নির্বাচন হলেও চেয়ারম্যান পদে সরকারের যে কাউকে নিয়োগ দেওয়ার ক্ষমতা থাকছে। এমন বিধান রেখে ‘জেলা পরিষদ (সংশোধন) আইন, ২০১৬’ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
সোমবার (২৯ আগস্ট) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম প্রেস ব্রিফিংয়ে এ অনুমোদনের কথা জানান।
সভা শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, সংসদ অধিবেশন চলমান না থাকায় ‘জরুরি বিবেচনায়’ আপাতত অধ ্যাদেশ আকারে জারি করা হবে এই সংশোধিত আইন।
অনুমোদিত খসড়ার বিভিন্ন দিক তুলে ধরে শফিউল আলম বলেন, সংশোধিত আইনে নির্বাচকমন্ডলী গঠনের বিষয়টি ‘স্পষ্ট’ করা হয়েছে।
প্রত্যেক জেলার অন্তর্ভুক্ত সিটি করপোরেশনের (যদি থাকে) মেয়র, কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর; উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান; পৌরসভার মেয়র, কাউন্সিল ও সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিল এবং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, সদস্য ও সংরক্ষিত আসনের সদস্যদের নিয়ে এই নির্বাচকমন্ডলী হবে।
“অর্থাৎ সকল স্তরের জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়ে কলেজ অব ইলেক্টোরাল গঠিত হবে। তারা জেলা পরিষদের চেয়াম্যান ও সদস্য নির্বাচিত করবেন।”
উপজেলা পরিষদে এখন ভাইস চেয়ারম্যান পদ যুক্ত হওয়ায় সংশোধিত জেলা পরিষদ আইনের খসড়ায় নির্বাচকমন্ডলীতেও তাদের রাখা হয়েছে।
শফিউল বলেন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র গৃহীত হলে তাদের সাময়িক বরখাস্ত করার সুযোগ রাখা হয়েছে প্রস্তাবিত খসড়ায়। মূল আইনে সাময়িক বরখাস্তের কোনো বিধান ছিল না।
জেলা পরিষদ নির্বাচনে কোনো প্রার্থী দুর্নীতি বা নির্বাচনী অপরাধ করলে সাত বছরের সাজার বিধান রয়েছে মূল আইনে। তার সঙ্গে আচরণবিধি ভঙ্গের দায়ে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড অথবা সর্বোচ্চ ছয় মাসের কারাদন্ড বা উভয় দন্ডের বিধান যোগ করার কথা বলা হয়েছে সংশোধিত আইনের খসড়ায়।
মূল আইন অনুযায়ী, জেলা পরিষদের নির্বাহী ক্ষমতা চেয়ারম্যানের উপর ন্যস্ত। চেয়ারম্যান প্রয়োজনে অন্য কাউকে ওই দায়িত্ব দিতে পারতেন।
আইন সংশোধন হলেও নির্বাহী ক্ষমতা চেয়ারম্যানের হাতেই থাকবে। তবে পরিষদ চাইলে এর সব বা যে কোনো নির্বাহী ক্ষমতা কোনো অস্থায়ী প্যানেল চেয়ারম্যান বা কোনো সদস্য অথবা সরকার অনুমোদিত কোনো উপযুক্ত কর্মকর্তাকে দিতে পারবে।
চেয়ারম্যান না থাকলে এর সদস্য বা সরকারের কোনো মনোনীত কর্মকর্তা চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করতে পারবেন।
তবে চেয়ারম ্যানের অনুপস্থিতিতে সরকার কত দিনের জন্য অন্য কাউকে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে বসাতে পারবে সে বিষয়ে খসড়ায় স্পষ্ট কিছু নেই বলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান।
তিনি বলেন, জেলা পরিষদের জনপ্রতিনিধিদের শপথের সময় পরিচিতির জন্য পিতা বা স্বামীর নামের সঙ্গে মায়ের নাম যোগ করার কথাও সংশোধিত আইনের খসড়ায় বলা হয়েছে।
মূল আইনে জেলা পরিষদ নির্বাচনের বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের হাতে ছিল। সংশোধিত আইনের প্রস্তাবে তা নির্বাচন কমিশনের হাতে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
তিন পার্বত্য জেলা বাদে দেশের ৬১টি জেলা পরিষদে ২০১১ সালের ১৫ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগ নেতাদের প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেয় সরকার।
তাদের মেয়াদপূর্তিতে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে জেলা পরিষদ নির্বাচন হবে কি না- এ প্রশ্নে মন্ত্রিপরিষদ সচিব কেবল বলেন, “আশা করি।”

পড়ে দেখুন

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

॥ ডেস্ক রিপোর্ট ॥ অমর একুশে ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ঐতিহাসিক ভাষা আন্দোলনের শহীদদের …