ঈদের দিনে কাশ্মিরে সহিংসতায় হতাহত ২৩, সান্ধ্য আইন জারি
ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরজুড়ে ফের সান্ধ্য আইন জারি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মসজিদে যাওয়ার পথে নিরাপত্তা বাহিনীর সড়ক প্রতিরোধক বসানো নিয়ে সহিংসতা শুরু হয়।
ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরে ঈদের দিনে সান্ধ্য আইন জারি অত্যন্ত বিরল একটি ঘটনা। উপত্যকাটিজুড়ে মোবাইল ও ইন্টারনেটও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শ্রীনগরে জাতিসংঘের পর্যবেক্ষকদের দপ্তর অভিমুখে মিছিল নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিল বিচ্ছিন্নবাদীরা, তা বন্ধ করতেই সান্ধ্য আইন জারি করা হয়েছে।
বার্তা সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, গত ২৬ বছরের মধ্যে এবার প্রথমবারের মতো গুরুত্বপূর্ণ ঈদগাহ ও হযরতবাল মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়নি।
কা্শ্মিরি গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, ঈদের আগের দিন বিপণীবিতানগুলোতে গত বছরের তুলনায় খুব কম ক্রেতা উপস্থিত ছিলেন এবং বেকারি ও মাংসের দোকানগুলোতে কোনো ভিড় ছিল না।
এক পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, প্রতিবাদকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ শ্রীনগরসহ উত্তর কাশ্মিরের বান্দিপোড়া, দক্ষিণ কাশ্মিরের শোপিয়ানে কাঁদুনে গ্যাস নিক্ষেপ করেছে ও পিলেট গান থেকে গুলি ছুড়েছে।
ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, বান্দিপোড়ায় কাঁদুনে গ্যাসের শেলের আঘাতে ১৯ বছর বয়সী একজন নিহত হয়েছেন।
৯ জুলাই থেকে শুরু হওয়া প্রতিবাদে নিহত ৭০ বেসামরিকের স্মরণে এবার ‘অনাড়ম্বর’ ঈদ পালনের ডাক দিয়েছিল বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীগুলো।
সেনাবাহিনীর সঙ্গে গোলাগুলিতে ২২ বছর বয়সী জনপ্রিয় বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা বুরহান ওয়ানি নিহত হওয়ার পর থেকে কাশ্মিরজুড়ে তীব্র প্রতিবাদ ছড়িয়ে পড়ে।