কাসেমের ফাঁসিতে জাতির দায় পূরণ: সেক্টর কমান্ডার্স ফোরাম

শনিবার মীর কাসেমের ফাঁসি কার্যকরের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ফোরামের মহাসচিব সাংবাদিক হারুন হাবীব বলেন, “আমরা বলেছি যে, মীর কাসেম আলীর মতো অন্যতম একজন শীর্ষ যুদ্ধাপরাধী, মুক্তিযুদ্ধের সময় সে চট্টগ্রাম অঞ্চলে যে নৃশংসতা ঘটিয়েছে, তার বিচার ছিল আমাদের ঐতিহাসিক জাতীয় দায়বদ্ধতা।

“সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামের পক্ষ থেকে আমরা মনে করি, জাতির দায়বদ্ধতা পূরণ হলো; যে কলঙ্ক এতোদিন যাবৎ জাতি পুষেছিল তা থেকে এক ধাপ এগোলো- ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হল।”

মুক্তিযুদ্ধকালীন চট্টগ্রামে আল-বদর বাহিনীর নির্যাতন কেন্দ্র ডালিম হোটেলের নেতৃত্ব দাতা মীর কাসেম আলীকে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে তার মানবতাবিরোধী অপরাধের সাজা কার্যকর করা হয় রাত সাড়ে ১০টায়।

চার দশক আগে মীর কাসেমের পরিকল্পনা, নির্দেশনা ও নেতৃত্বেই আল-বদর বাহিনী চট্টগ্রামে সংগঠিত হয়। ওই বাহিনী সে সময় যে সব হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিল, তাতে তিনি নিজেও অংশ নিয়েছেন। অপরাধের মাত্রা বিবেচনায় কাসেম দণ্ডের ক্ষেত্রে কোনো ধরনের ছাড় পেতে পারেন না বলে রায় দিয়েছিল সর্বোচ্চ আদালত।

জামায়াত আমির মতিউর রহমান নিজামী ও সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদের পর মীর কাসেম ছিলেন আল-বদর বাহিনীর তৃতীয় প্রধান ব্যক্তি। ধারণা করা হয়, তার যোগানো অর্থেই স্বাধীন বাংলাদেশে জামায়াতে ইসলামী শক্ত ভিত্তি পায়।

এ প্রসঙ্গ টেনে মীর কাসেম আলীর অধীনে থাকা প্রতিপত্তি যেন রাষ্ট্রবিরোধী ও সন্ত্রাসী কার্যক্রমে ব্যবহার না হয় সেজন্য সতর্ক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান হারুন হাবীব।

তিনি বলেন, “মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তীকালে অর্থাৎ পঁচাত্তরের পর মীর কাসেম আলী যে অর্থ প্রতিপত্তির মালিক হয়েছে, আমরা মনে করি, তার সম্পদ যাতে বাংলাদেশবিরোধী কাজে আর ব্যবহার না হয়, কোনো টেরর ফাইন্যান্সিং না হয় সেজন্য রাষ্ট্রকে সর্বোচ্চ সতর্ক ব্যবস্থা নিতে হবে।

“তা যদি না করা হয় কেবলমাত্র মীর কাসেম আলীর মতো একজন ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ রাষ্ট্র বিপদমুক্ত হতে পারে না।”

ট্রাইব্যুনালের রায়ের পর্যবেক্ষণে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসাবে আসা জামায়াতকে দ্রুত নিষিদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানান হারুন হাবীব।

 

Archive Calendar
Sat Sun Mon Tue Wed Thu Fri
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930