॥ লিটন ভট্টাচার্য্য রানা ॥ আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস উপলক্ষে ‘অতীতকে জানবো, আগামীকে গড়বো’ এ শ্লোগানে সরকারি ও বেসরকারি নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে খাগড়াছড়িতে পালিত হয়েছে আন্তর্জাতিক স্বাক্ষরতা দিবস ও স্বাক্ষরতার সুবর্ণ জয়ন্তী।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা দিকে খাগড়াছড়ি টাউন হল প্রাঙ্গণ থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালী বের হয়ে খাগড়াছড়ি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক ঘুরে অফিসার্স ক্লাব মিলনাতয়নে গিয়ে শেষ হয়।
পরে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরাএমপি।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্য বলেন শিক্ষকরা জাতি গঠনে অভিবাভক সাক্ষরতা ও শিক্ষা মানুষকে সচেতন করে তোলে শিক্ষক সমাজের কাজ।ঐনাওে শিক্ষাতার জ্ঞান দিয়ে জাতি ও সমাজে চক্ষু খুলে দেয়,তাকে সুযোগ্য নাগরিকে পরিণত করে।
১৯৯৬ সালে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় এসেছিল, তখন বাংলাদেশের দ্রারিদ্র জনগোষ্ঠি কথা চিন্তা করে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বিধাবকার্ড,প্রতিবন্ধী বাতা,কৃষক ও কৃষাণিদের দশ টাকা দিয়ে ব্যাংক একাউন্টন খোলা, এখন দেখেন বাংলাদেশের মানুষকে দেখেন হতদরিদ্রদের মাঝে দশ টাকা চাউল বিতরণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী।শিক্ষা খাতে উমুল পরিবর্তন করেছে এই সরকার।বঙ্গবন্ধু স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সমাজের বিভিন্ন প্রয়োজনে টিপসহির পাশাপাশী স্বাক্ষরতার অভ্যাস গড়ে তোলার গুরুত্বারোপ করে প্রভাবশালীদের প্রভাবে দরিদ্র ও নিরক্ষররা অনেক সময় অনেক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয় যা সাক্ষরতার মাধ্যমে প্রতিরোধ করা সম্ভব।
দেশ গড়ার প্রধান হাতিয়ার হচ্ছে শিক্ষা। শিক্ষার পূর্বশর্ত হচ্ছে সাক্ষরতা । তাই নিরক্ষর মুক্ত বাংলাদেশ গড়তে হলে সাক্ষরতার ওপর জোর দিতে হবে। তারা বলেন, বাংলাদেশকে ক্ষুদা দারিদ্র মুক্ত ও দুর্নীতিমুক্ত সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে সাক্ষরতা সম্পন্ন মানুষের ভূমিকার বিকল্প নেই।
বিশেষ অতিথি ছিলেন, খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামান,পুলিশ সুপার মো: মজিদ আলী, চঞ্চুমণি চাকমা ও স্বাগত বক্তব্য জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ফাতেমা মেহের ইয়াসমিন, জেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি সত্য প্রকাশ ত্রিপুরা ও কুখিছড়া সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়ওে প্রধান শিক্ষিকা সুমনা চাকমা প্রমূখ।