॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ অবিরাম বর্ষণ ও সীমান্ত থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে কাপ্তাই হ্রদের পানির উচ্চতা হ্রাস না পাওয়ায় রাঙ্গামাটির ১০ হাজার মানুষ প্রায় একমাস ধরে পানি বন্দী হয়ে আছে। বাড়ীঘর পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছে হ্রদ ঘিরে বসবাস করা নি¤œ আয়ের এসব মানুষ। এখনো হ্রদের পানিতে ডুবে আছে পর্যটনের আকষর্নীয় ঝুলন্ত সেতু। তবে কাপ্তাই হ্রদের পানি বাড়ায় কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপন্ন হচ্ছে।
গতকয়েক দিনের অবিরাম বর্ষণ ও সীমান্ত থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে কাপ্তাই হ্রদের পানির উচ্চতা বেড়ে গেছে। কয়েক দিনের ব্যবধানে আকষ্মিকভাবে হ্রদের পানির উচ্চতা সর্বোচ্চ সীমায় অবস্থান করায় হ্রদ বেষ্টিত এলাকায় ঘরবাড়িতে পানি ঢুকে পড়ে। আর এ সব ঘরবাড়ির মানুষ পানিবন্ধী অবস্থায় দিন যাপন করছে।
গত এক সপ্তাহ ধরে পর্যটনের আকষর্নীয় ঝুলন্ত সেতুও পানিতে ডুবে যাওয়ায় রাঙ্গামাটি শহরে এখন তেমন পর্যটক নেই। বৃষ্টি আর পাহাড়ী ঢল অব্যাহত থাকলে হ্রদের পানির উচ্চতা আরো বাড়বে। আর এতে পরিস্থিতির আরও অবনতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ভারি বর্ষণ ও পাহাড়ী ঢলে কাপ্তাই হ্রদ সহ কাচালং নদী ও রাইংক্ষ্যং নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় বাঘাইছড়ি, লংগদু, বরকল, বিলাইছড়ি উপজেলায় নি¤œাঞ্চলের কয়েক হাজার মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়েছেন।
রাঙ্গামাটি পৌরসভা মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরী জানান, কাপ্তাই হ্রদের ড্রেজিং যতদিন না হবে কাপ্তাই হ্রদঘেরা বসবাসকারী রাঙ্গামাটির মানুষের দুঃখ ততদিন যাবেনা।তিনি পৌর এলাকার পানিবন্ধী মানুষের দুর্দশা লাঘবে প্রয়োজনীয় সাহায্য সহায়তা দেয়া হবে বলে জানান।
এ দিকে কর্নফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক আব্দুর রহমান জানান, গতকয়েক দিনের অবিরাম বর্ষণ ও সীমান্ত থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে কাপ্তাই হ্রদের পানির উচ্চতা সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে ১০৮ দশমিক ০৮ এমএসএলে প্রবাহিত হচ্ছে।
কাপ্তাই হ্রদের পানি বাড়ায় কর্নফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পাচঁটি ইউনিট দিয়ে সর্বোচ্চ ২২০ মেঘাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপন্ন হচ্ছে। কাপ্তাই হ্রদের পানির উচ্চতা সহনীয় পর্যায়ে রাখতে ১৬টি স্পীলওয়ে ১ফুট উচ্চতায় খুলে দিয়ে ১৮ হাজার কিউসেক পানি কর্নফুলী নদীতে ছাড়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।