খাগড়াছড়িতে আরও অস্ত্র উদ্ধার করেছে যৌথ বাহিনী
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি : খাগড়াছড়িতে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ একজন নিহতের পর ঘটনাস্থল থেকে আরও অস্ত্র উদ্ধার করেছে যৌথ বাহিনী।
শনিবার (১৫ অক্টোবর) ভোরে নিহতের লাশ ৩৮ রাউন্ড গুলিসহ যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি আরও একটি এম-১৬ রাইফেল উদ্ধার হয়েছে। এ নিয়ে এ ঘটনায় তিনটি ভারি আগ্নেয়াস্ত্র, শতাধিক গুলিসহ বিপুল পরিমাণ সামরিক সরঞ্জাম উদ্ধার হলো।
এর আগে ঘটনাস্থল থেকে ১৯ রাউন্ড গুলিসহ একটি বিদেশী জি-৩ রাইফেল ও জি-৩ রাইফেলের ম্যাগজিন, ৪৯ রাউন্ড গুলিসহ একটি চাইনিজ সাব মেশিনগান ও মেশিনগানের ম্যাগজিন, একটি ওয়াকিটকি সেট, একটি মোবাইল, একটি ব্যাগ উদ্ধার করে যৌথ বাহিনী।
খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মো. মজিদ আলী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার একটি দল দাতকুপিয়া এবং ভুয়াছড়ি এলাকার মধ্যবর্তী স্থান কুতুকছড়িতে ইউপিডিএফ’র ১৫-২০ সদস্যের একটি গ্রুপ গোপন বৈঠক করছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে সেনাবাহিনীর মহালছড়ি জোনের নেতৃত্বে যৌথ বাহিনী ঘটনাস্থল ঘিরে ফেলে। যৌথ বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা নিরাপত্তা বাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়তে শুরু করলে যৌথ বাহিনীও গুলি ছুড়ে পাল্টা জবাব দেয়। এক পর্যায়ে সশস্ত্র সন্ত্রাসী দলটি অন্ধকার পাহাড়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। তবে দুই পক্ষের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধে ইউপিডিএফের এক সন্ত্রাসী গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। এ সময় যৌথ বাহিনীর গুলিতে আরও একজন সন্ত্রাসী গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হলেও পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
তবে ইউপিডিএফের প্রচার ও প্রকাশনা বিভাগের প্রধান নিরন চাকমা গণমাধ্যমকে তাদের সংগঠনের সাথে এ ধরনের কোনো সংঘর্ষের খবর অস্বীকার করেছেন।
সামরিক বাহিনীর এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, জেলার সদর উপজেলার কুতুকছড়ির বৈঠকে ইউপিডিএফ’র সন্ত্রাসীরা পার্বত্য চট্টগ্রামের তাইন্দং, গঙ্গারাম, সাজেক, বঙ্গাতলী, ঘিলাছড়ি, কামুক্কুছড়া, কুতুকছড়ি, মাইচছড়ি, সিদ্ধিছড়িসহ বিভিন্ন স্থানে নাশকতার পরিকল্পনা করেছে এমন তথ্য নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে রয়েছে।