॥ সুমন্ত চাকমা, জুরাছড়ি ॥ পার্বত্য চট্টগ্রামের উৎপাদিত কৃষি পণ্যের উপর অবৈধ অস্ত্রের মূখে যারা চাঁদা আদায় করছে- তাদেরকে পাহাড় বিরোধী আইনে আওতায় আনতে হতে হবে। এ অঞ্চল থেকে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের লক্ষে সরকারকে বার বার অনুরোধ করা হয়েছে। তবে শুধু সরকারের উপর নির্ভর করলে হবেনা। যারা ভুক্তভোগী তাদেরকেও সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
গতকাল রবিবার জুরাছড়ি উপজেলায় আওয়ামী লীগের নবীন কর্মী যোগদান ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাবেক পার্বত্য বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার একথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার পার্বত্য শান্তি চুক্তি পূণাঙ্গ বাস্তবায়ন চায়। শান্তি চুক্তি একটি চলমান প্রক্রিয়া। তাছাড়া সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক জীবন ছাড়া পার্বত্য শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন করা কঠিন। আর এ স্বাভাবিক জীবন বিনষ্ট করছে অবৈধ অস্ত্র।
তিনি আরো বলেন, রাঙ্গামাটি সংসদ সদস্য ঊষাতন তালুকদার ও তার সংগঠনের অভিযোগ জাতীয় দলে অন্তঃভুক্ত করে পার্বত্য বাসীদের মসুলিম করা হচ্ছে। আর এ সব উগ্রমৌলবাদীদের বিরুদ্ধে তাদের অবস্থান। মসুলিম ও উগ্রপস্থি তৈরীর অন্যতম প্রতিষ্ঠান হচ্ছে লংগদুর রাবেতা কলেজ। আর সে মসুলিম ও উগ্রপস্থি তৈরী কারখানা রাবেতা কলেজকে জাতীয় করণের সুপারিশ ডিও পাটিয়েছেন ঊষাতন তালুকদার। সুতরাং তার কথা আর কাজের মিল নেই।
উপজেলা বিশ্রামাঘারের প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত নবীন কর্মী যোগদান ও আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রবর্তক চাকমার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথিসহ সভাপতি হাজী কামাল উদ্দিন, দীপক দেওয়ান, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য রেমলিয়ানা পাংখোয়া, সুবির চাকমাসহ দলের নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগের যুগ্ন সম্পাদক পবন বিকাশ চাকমা ও যুব নেতা সুমতি বিকাশ দেওয়ানের ধারা সঞ্চলনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন, রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদের সদস্য জ্ঞানেন্দু বিকাশ চাকমা, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রমথ কান্তি চাকমা, হেডম্যান মায়া নন্দ দেওয়ান, নবাগত কর্মী সাবেক ভাইস চেয়রম্যান রূপ কুমার চাকমা, সাবেক জনসংহতি সমিতির অঙ্গসংগটনের নেতা সুরেশ চাকমা প্রমূখ।
উল্লেখ্য জনসংহতি সমিতির অঙ্গসংগঠনের যুব সমিতির সাবেক নেতা সুরেশ চাকমা ও সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান রূপ কুমার চাকমাসহ সাড়ে ৪ শতাধীক নেতা কর্মী দলে যোগদান করেন।
উল্লেখ্য অনুষ্ঠানের আগে এলজিইডির বাস্তবায়িতধীন জুরাছড়ি হেড কোয়াটার এড়াইছড়ি ঘাট সড়কে ব্রীজ নির্মাণ চেইঃ১৭০০মিটার), চালকা পাড়া ভায়া লুলাংছড়ি সড়ক উন্নয়ন (চেইঃ০০ হইতে ১৮৯০ মিটার), একই সড়কে ৩টি ব্রীজ নির্মাণ এবং শীলছড়ি সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন। তবে এ সময় এলজিইডি কিংবা সরকারী কোন কর্মকর্তার উপস্থিতি লক্ষ্য করা যাইনি।
