টেকনাফে স্ত্রীকে জবাই করে হত্যা করল
দিনাজপুরের স্বামী ঃ ঘাতক আটক
॥ মুহাম্মদ জুবাইর, টেকনাফ ॥ টেকনাফে দু’ সন্তানের জননী রোকেয়া আক্তার(২১)কে জবাই করে হত্যা করেছে স্বামী। ঘাতক স্বামী দিনাজপুর জেলার বিরল উপজেলার কোশালডেঙ্গি গ্রামের আবদুল গফুরের ছেলে। শনিবার (২৯ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে উপজলার সদর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের রাজারছড়া (করাছি পাড়া) এলাকায় ঘটে এ ঘটনা। এ ঘটনায় পালানোর সময় স্বামী মোঃ রূবেলকে আটক করেছে পুলিশ।
জানা যায়, তারা ভালবেসে ২০১৪ সালের ১২ জানুয়ারী কক্সবাজার নোটারী পাবলিক কার্যালয়ের এফিডেভিট মূলে বিয়ে করে যার (নং৫৩২)। এরপর রাজারছড়া এলাকায় শ্বশুর বদিউল আলমের বাড়ীতে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করতো রুবেল। কয়েক বছর আগে এ দম্পতি দিনাজপুর চলে গেলে ও গত রমজান মাসে রোকেয়া আক্তার সন্তান জন্ম দানের জন্য টেকনাফে পিতার বাড়ীতে আসে। গত ১৪/১৫ দিন আগে তার সংসারে একটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। সন্তান জন্মের খবর পেয়ে ক‘দিন দিন আগে স্বামী রুবেল দিনাজপুর থেকে শ্বশুর বাড়ীতে আসে। এরপর শনিবার এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। তবে কি কারনে এই বর্বর হত্যার ঘটনা ঘটেছে তাৎক্ষনিক জানা যায়নি। এ সময় বড় সন্তান সিফাত (২) কে নিয়ে নানী পার্শ্বে বাড়ীতে ছিল। বাড়িতে এসে মেযের রক্তাক্ত লাশ পড়ে থাকতে দেখে চিৎকার দেয়।এ সময় শ্বাশুড়ীর চিৎকারে লোকজন জড়ো হওয়ার আগেই সে পালিয়ে যায়। পরে টেকনাফ পৌর এলাকার শাপলা চত্ত্বর থেকে জনতার সহায়তায় পুলিশ ঘাতক স্বামীকে আটক করে। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে রোকেয়ার মৃতদেহ উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ময়দা তদন্তের জন্য প্রেরন করে।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, গৃহবধূ রোকেয়া আকতারকে গলাকেটে মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে। এ ছাড়া একটি হাত কব্জি থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হয়েছে। শরীরের বিভিন্ন জায়গাতে রয়েছে দায়ের কুপের একাধিক ক্ষত চিহ্ন। এদিকে খবর পেয়ে টেকনাফ মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত ) শেখ আশরাফুজ্জামান ও এসআই কাঞ্চন কান্তি দাস ঘটনাস্থলে গিয়ে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরী করে এবং মৃতদেহ উদ্ধার করে।
টেকনাফ মডেল থানার ওসি মো. আবদুল মজিদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নিহত গৃহবধূরলাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে এবং ঘাতক স্বামী মো: রুবেলকে আটক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলার প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানান তিনি।