ফেইস বুকে প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটুক্তি করায়
রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদের অফিস সহকারী
আহম্মেদ উল্লাহ সামযিক বরখাস্ত
॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদের অফিস সহকারীকে বরখাস্ত প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কূটক্তি করে পোস্ট করা একটি ছবি পুনরায় শেয়ার করার ফৌজদারী অপরাধে অভিযুক্ত পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়া রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদের প্রকৌশল শাখার অফিস সহকারী আহম্মেদ উল্লাহকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে জেলা পরিষদ।
গত রোববার জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বৃষকেতু চাকমার স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে আহম্মেদ উল্লাহকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। যার স্মারক নং রাপাজেপ/প্রশাসন/সংস্থাপন/ পনর-২৫/৯৯-২০০০/১০১৮।
অফিস আদেশে বলা হয়, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক আহম্মদ উল্লাহকে ফৌজদারী অভিযোগ পুলিশ কর্তৃক গ্রেফতার করায় বিএসআর পার্ট-১ এর ৭৩ নং বিধি নোট-২ অনুযায়ী গ্রেফতারের তারিখ ১৪/১০/১৬ খ্রি. হতে চাকরি হতে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।
বিএসআর পার্ট-১ এর ৭৩ নং বিধি ও এফ আর ৫৩(বি) অনুযায়ী সাময়িক বরখাস্তখালীন সময়ে প্রাপ্য খোরাকী ভাতা এবং অন্যান্য সুবিধাদি ভোগ করবেন।
উল্লেখ্য, গত ৬ অক্টোবর রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদের প্রকৌশল শাখার অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক আহম্মেদ উল্লাহ তার ব্যক্তিগত ফেসবুক একাউন্ট থেকে ‘দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও’ সরকার বিরোধী অপপ্রচার করা হয় এমন একটি পেজের বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ফটোশপে বিকৃত করা ছবি পুনরায় শেয়ার করে। এতে স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
আহম্মদ উল্লাহর এমন প্রচারণায় ক্ষুব্ধ হয়ে রাঙ্গামাটি জেলা যুবলীগের নেতা ঝিনুক ত্রিপুরা গত ১৪ অক্টোবর তথ্য ও প্রযুক্তি আইনে আহম্মেদ উল্লাহর বিরুদ্ধে কোতয়ালী থানায় মামলা করেন। এই মামলায় আহম্মেদ উল্লাহে তার বাসা থেকে শুক্রবার দুপুরে পুলিশ গ্রেফতার করে আদালতের রিমান্ডের আবেদন করলে আদালত দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। বর্তমানে তিনি রিমান্ডে আছেন।
তবে গ্রেফতার হওয়ার আগে ১৪ অক্টোবর আহম্মদ উল্লাহ তার ফেসবুকে দাবি করে কে বা কারা ষড়যন্ত্র করে এই পোস্ট শেয়ার করে। এতে তিনি ক্ষমাও চান।
আহম্মদ উল্লাহর প্রতিবেশী ও স্থানীয়দের রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাকর্মীদের অভিযোগ গ্রেফতার হওয়া আহম্মদ উল্লাহ জামায়াত রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।
জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নুর মোহাম্মদ কাজল বলেন, আমি জানি যে আহম্মদ উল্লাহর পুরো পরিবার জামায়াত রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।