॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ রাঙ্গামাটি শহরের সরকারী মহিলা কলেজ এলাকায় কাপ্তাই হ্রদে দোতলা পাকা ভবন ধ্বসে পড়ার ঘটনায় গতকাল বুধবার সকালে আরো ১ টি শিশুর মৃত দেহ উদ্ধার করেছে নৌ বাহিনীর উদ্দারকারী দল। এই নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৫ জনে। বুধবার সকাল ৭ টায় দ্বিতীয় দিনের মতো উদ্ধার অভিযান শুরু করার সকাল ৮ টায় শিশু সাজিদুলের মৃত দেহ উদ্ধার করে নৌ বাহিনীর ডুবরী দল। ধ্বসে পড়া ভবনে আর কোন লোকজন নেই বলে পরিবারের সদস্যরা। উদ্ধার অভিযান শেষে নৌ বাহিনীর কাপ্তাই শহীদ মোয়াজ্জেম ঘাঁটির কমান্ডার লেঃ কর্ণেল রাইয়ান আল বেরুনী জানান, ধ্বসে পড়া ভবনে আর কোন লোকজন আটকে পড়ার সম্ভাবনা নেই বলে নিশ্চিত হওয়ার পর তারা উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত করেছেন।
গতকাল সকাল ৭ টায় নৌ বাহিনীর উদ্ধার কারী দল যখন মহিলা কলেজ এলাকায় এসে পৌছায় তখন উৎসুক অসংক্য জনতা এসে ভীড় জমায়। সকাল ৭ টা থেকে নৌ বাহিনীর উদ্ধার কারী দলের একজন সদস্য মরদেহ সাজেদুলের পড়ার ঘরে উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করে। নৌ বাহিনীর ডুবরী দল প্রায় আধ ঘন্টার বেশী সময় ধরে যখন তল্লাশি চলায় এ সময় ঘটনাস্থলের চার পাশে শত শত উৎসুক জনতা ভীড় করে।
নৌবাহিনীর সদস্য যখন সাজেদুলের মরদেহ ঘরের ভিতর থেকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে সে সময় এলাকায় একটি হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতরণ হয়। নৌ বাহিনীর উদ্ধার কারী দলের দলের সদস্যরা নদী থেকে সাজিদুলের মরদেহ রাস্তায় নিয়ে আসলে সাজেদুলের আত্মীয় স্বজন কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে। তার সাথে সাথে এলাকার অসংখ্য মানুষ কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কাপ্তাই হ্রদ তীরে গড়ে উঠা দোতলা পাকা ভবনটি হঠাৎ কাপ্তাই হ্রদের পানিতে ধ্বসে পড়ে। ঘটনার পর পর ফায়ার সার্ভিস, সেনা পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন রাতে ৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করে। এর মধ্যে দুটি শিশু সহ একজন পুরুষ এবং একজন মহিলা।
এদিকে এ ঘটনায় রাঙ্গামাটি অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মোয়াজ্জেম হোসেনকে প্রধান করে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। নিহতদের প্রত্যেককে জেলা প্রশাসন থেকে ২০ হাজার টাকা করে অর্থ সহায়তা দেয়া হয়েছে। আর পুলিশ বাদী হয়ে ধ্বসে পড়া বাড়ীর বাড়ীর মালিক টিটুর বিরুদ্ধে কোতয়ালী থানায় মামলা দায়ের করেছে।