রাজউকে দূর্নীত মামলায় রাঙ্গামাটির গণর্পূত বিভাগের
নিবার্হী প্রকৌশলী জামিন নামঞ্জুর,কারাগারে প্রেরণ
॥ ফাতেমা জান্নাত মুমু ॥ রাজউকের দূর্নীত মামলায় গ্রেফতারকৃত রাঙ্গামাটির গণর্পূত বিভাগের নিবার্হী প্রকৌশলী সুকোমল চাকমার জামিন না মঞ্জুর করেছে আদালত। বুধবার বেলা ১২টার দিকে রাঙ্গামাটি আদালতে আসামীকে হাজির করে পুলিশ। সংক্ষিপ্ত সুনানী শেষে রাঙ্গামাটি অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাবরিনা আলী’র আদাল আসামীর জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেন। আদালত আগামী ৬ নভেম্বর মামলার পরবর্তী দিন ধার্য করেন।
রাঙ্গামাটি দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারী-পরিদর্শক মো.নিজাম উদ্দিন জানান, ২০১৪ সালে গুলশান সার্কেলে রাজুউকের কর্মকর্তা ছিলেন সুকোমল চাকমা। তখন তিনি ক্ষমতার অপব্যাবহার করে উর্ধতন কর্মকর্তার স্বাক্ষর জালিয়াতীর মাধ্যমে নকশা অনুমোদন করেছেন। তাঁর সাথে মিজানুর রহমান এ কাজে তাকে সহযোগিতা করেন। তাদের বিরুদ্ধে গত সোমবার ঢাকা বনানী থানায় মামরা দায়ের করা হয়েছে। মামলা নং-১৭ তারিখ-১৮/১০/১৬ইং। মামলা হওয়ার পর দূর্নীতি দমন কমিশন দুই আসামীকে আটক করেছে। মালার প্রথম আসামী মিজানুর রহমান ঢাকা থেকে ও দ্বিতীয় আসামী সুকোমল চাকমাকে রাঙ্গামাটি থেকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি আরও বলেন, মামলাটা বনানী থানায় হয়েছে বলে এটা ঢাকায় বিচারধীন। তাই রাঙ্গামাটি অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাবরিনা আলী’র আদালত মামলাটি ঢাকা কোর্টে প্রেরণের জন্য নির্দেশ দেন।
এব্যাপারে আসামীর পক্ষে আইনজীবি এ্যাডভোকেট প্রতিম রায় পাম্পু বলেন, মামলা হওয়ার মাত্র কয়েক ঘন্টার মধ্যে ৫৪ ধারায় সুকোমল চাকমাকে আটক করা হয়েছে। আসামীকে আত্মপক্ষ সর্মথনের জন্য কোন সুযোগও দেওয়া হয়নি। তাছাড়া এজাহারের মূল কাগজ না থাকায় সুনানী সম্ভব হয়নি। কোন দুদকের মামলায় আসামীকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে অভিযোগ দায়ের করাটা কতটা সমোচিন সেটা আমার প্রশ্ন।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টায় দিকে রাঙ্গামাটি শহরের তবলছড়ি এলাকার টেক্সটাইল মার্কেটের থেকে আসামী সুকোমল চাকমাকে গ্রেফতার করে দুদক। এসময় রাঙ্গামাটি দুর্নীতি দমন কমিশনের উপ-পরিচালক শফিকুর রহমান ভূইয়ার, সহকারী-পরিদর্শক মিজান উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।