‘জলবায়ু অর্থায়নে চাই স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও অংশগ্রহণ’ এই দাবীতে মরক্কোর মারাকাশে ৭-১৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য কপ-২২ আন্তর্জাতিক জলবায়ু সম্মেলন উপলক্ষে এক মানববন্ধন কর্মসূচি আজ (১৭ নভেম্বর) বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সম্মুখে অনুষ্ঠিত হয়। দুর্নীতিবিরোধী সংগঠন টিআইবি’র সহযোগিতায় সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক), চট্টগ্রাম মহানগরের উদ্যোগে এ মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। ইয়েস দলনেতা আনোয়ার আহমাদ এর সঞ্চালনায় এবং সনাক সভাপতি প্রকৌশলী মোঃ দেলোয়ার হোসেন মজুমদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সনাক সদস্য ও ইয়েস উপ-কমিটির আহবায়ক অ্যাড. আখতার কবির চৌধুরী, সনাক সহ-সভাপতি ড. আনোয়ারা আলম, টিআইবি’র এরিয়া ম্যানেজার মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম ও মোঃ জসিম উদ্দিন, ইয়েস উপ-দলনেতা আইরিন সুলতানা প্রমুখ। মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারিরা ঋণ নয় অনুদান চাইসহ বিভিন্ন দাবীতে প্ল্যাকার্ড বহন করে। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় বিশ্ব ব্যাংক ২ বিলিয়ন ডলার ঋণ প্রদানের ঘোষণা দিলেও বাংলাদেশের মতো ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলো অভিযোজনের জন্য প্রয়োজনীয় তহবিল ক্ষতিপূরণ হিসাবে অনুদান পাওয়ার কথা, ঋণ নয়। বিশ^ব্যাংক বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ‘দরিদ্র ও চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত’ জনগণের পাশে থাকাকে ঋণ ব্যবসা সম্প্রসারণের সুযোগ হিসেবে বিবেচনা করছে যা অগ্রহণযোগ্য। যদি জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে সহায়তা প্রদানে বিশ^ব্যাংকের প্রকৃত অভিপ্রায় থাকে, তাহলে বাংলাদেশের ওপর অধিকতর ঋণের ভার ও বোঝা চাপানো থেকে বিশ^ব্যাংককে বিরত থাকতে হবে। বরং জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দায়ী উন্নত দেশগুলোর প্রতিশ্রুত অর্থ বাংলাদেশ যেন দ্রুত পেতে পারে, সেই প্রক্রিয়ায় বিশ^ব্যাংক ইতিবাচক ভূমিকা পালনের উপায় খোঁজার প্রয়াস গ্রহণ করতে হবে। বক্তারা বলেন, বৈশি^ক জলবায়ু পরিবর্তনের সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত দেশসমূহের মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশ ইতিমধ্যেই অত্যন্ত ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। সবুজ জলবায়ু তহবিলের ন্যায় সূত্র থেকে অনুদান প্রাপ্তিতে বাংলাদেশের অভিগম্যতাকে সহজতর করার ক্ষেত্রে তার সম্ভাব্য সামর্থ্য এবং দক্ষতার সদ্ব্যবহার করলে বিশ^ব্যাংক ভালো করবে। যখন ক্ষতিপূরণ হিসেবে বাংলাদেশকে অনুদান প্রদানের কথা তখন জলবায়ু তহবিলের নামে সরকার যেন কোনো ঋণ গ্রহণ না করে এবং ক্ষতিপূরণ হিসেবে অনুদান প্রদানে উন্নত দেশসমূহের প্রতিশ্রুতি পূরণে আগ্রহ বৃদ্ধির লক্ষে বাংলাদেশ সরকরের রাজনৈতিক সদিচ্ছা, কারিগরী এবং কূটনৈতিক দক্ষতা সমন্বিতভাবে প্রয়োগ করার আহবান জানান।