কবি স্বপন কুমার দাশ এর সৃষ্টিকর্মের উপর
‘সুর-বিহঙ্গ’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন
উপমহাদেশের প্রখ্যাত সঙ্গীতগুরু ও ৭১’এর শব্দ সৈনিক ওস্তাদ মোহনলাল দাশকে উৎসর্গ করে বরেণ্য সঙ্গীতজ্ঞ ও কবি স্বপন কুমার দাশের জীবন ও সৃষ্টিকর্ম নিয়ে ‘সুর-বিহঙ্গ’ শীর্ষক অনুষ্ঠান গত ২৫ নভেম্বর চট্টগ্রামের স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান সরগম একাডেমী’র উদ্যোগে একাডেমীর জেষ্ঠ সহ-সভাপতি, নাট্যজন বাবু সজল চৌধুরীর সভাপতিত্বে বর্ণাঢ্য আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়। এতে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র জনাব আ.জ.ম নাছির উদ্দীন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এবং সম্মানিত জেলা প্রশাসক মোঃ সামসুল আরেফিন উদ্বোধক হিসেবে মঙ্গলপ্রদীপ প্রজ্জ্বলন করেন। প্রধান আলোচক ছিলেন, চবি’র সাবেক ডীন গাজী সালাহ উদ্দিন। আলোচনা পর্বে আরও ছিলেন, মহানগর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার জনাব মোজাফ্ফর আহমেদ, যুদ্ধকালীন কমান্ডার বাবু রাখাল চন্দ্র ঘোষ, কাউন্সিলর আবিদা আজাদ ও কবি স্বপন কুমার দাশ।
জেলা প্রশাসক বলেন, কবি স্বপন বাবু’র সাথে আমার রাঙ্গমাটিতে পরিচয়। তার পিতা ৭১’ এর মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সাংস্কৃতিক অঙ্গনে যে ভূমিকা রেখে গেছেন এবং সঙ্গীতকে সমৃদ্ধ করেছেন তার সঠিক মূল্যায়ন হয়নি একথা সত্য তবে, তাদের মূল্যায়নের এখনি সঠিক সময়। তাদের স্বীকৃতি দেয়া জাতীর নৈতিক দায়িত্ব। তার জীবন ও সৃষ্টিকর্ম দুর্বার গতিতে বেগবান হবে এ প্রত্যাশায় একাডেমীর পাশে থাকার প্রতিশ্র“তি দেন।
অনুষ্ঠানের আলোচনা শেষে প্রধান অতিথি কবি স্বপন কুমার দাশকে জীবনকর্মের উপর ‘সুর-বিহঙ্গ’ নামক একটি স্মারকগ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন এবং তার অগ্রযাত্রা সাংস্কৃতিক অঙ্গনে অব্যাহত রাখবে এই আশা ব্যক্ত করে কবিকে উত্তরীয় পড়িয়ে দেন। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বাস্তবায়নে সংস্কৃতি চর্চার বিকল্প নেই। তিনি সরগম একাডেমীর সাংস্কৃতিক কার্যক্রমকে আরো বেগবান করে এগিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানান ও সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
প্রধান আলোচক বলেন, স্বপন বাবু যোগ্য পিতার যোগ্য সন্তান। তাঁরা পিতা ও পুত্র পরম্পরা বংশধর যেভাবে সাংস্কৃতিক অঙ্গনে নিঃশ্বার্থভাবে নিজেদের বিলিয়ে যেভাবে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে সে অগ্রযাত্রাকে স্বাগত জানাই এবং ওস্তাদ মোহনলাল দাশ ও কবি স্বপন দাশের যোগ্য স্বীকৃতি দাবী করেন।
সভাপতি সমাপনী বক্তব্য শেষে সরগম একাডেমীর পক্ষ থেকে চট্টগ্রামের ৪টি স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষদের সাংস্কৃতিক অবদানের জন্য তাদেরকে স্মারক সম্মাননা-২০১৬ প্রদান করেন। অবশেষে মনোমুগ্ধকর এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। এতে সঙ্গীত পরিবেশন করেন ওস্তাদ স্বপন কুমার দাশ, অভিষেক দাশ, প্রেয়সী জেসমিন, হ্যাপী দাশ ও ডেজি আক্তার প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন, এ.টি.এম সাইফুর রহমান, সঙ্গীত পরিচালনায় অভিষেক দাশ ও সার্বিক সহযোগিতায় চিত্রশিল্পী রাজীব চৌধুরী।