আগামী নির্বাচনে ভোট ডাকাতি বন্ধ করতে আঞ্চলিক সংগঠনের নামে অবৈধ অস্ত্রধারীদের বিরুদ্ধে সোচ্ছার হতে পাহাড়ী বাঙ্গালী সকল সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসার আহবান জানিয়েছেন সাবেক পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য দীপংকর তালুকদার। তিনি বলেন, আগামী নির্বাচন আর বেশী দুরে নয়। আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে আমাদের নেতাকর্মীদের আরো বেশী কাজ করতে হবে। অবৈধ অস্ত্রধারীরা যাতে সাধারণ মানুষকে আর ভয় ভীতি দেখাতে না পারে সেই দিকে লক্ষ্য রেখে আগামী নির্বাচনের জন্য কাজ করতে হবে। তিনি দলীয় নেতাকর্মীদেরকে তৃণমুল পর্যায়ে গিয়ে কাজ করারও আহবান জানান।
দীপংকর তালুকদার বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নির্বাচিত হওয়ায় গত ৩১ অক্টোবর রাঙ্গামাটি কাউখালী উপজেলা আওয়ামীলীগের উদ্যোগে আয়োজিত গণ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
কাউখালী উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি ও জেলা পরিষদ সদস্য অংসুইপ্র“ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত গণ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি চিংকিউ রোয়াজা, আওয়ামীলীগের বন পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক অভয় প্রকাশ চাকমা, কাপ্তাই উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি অংসুছাইন চৌধুরী, কাউখালী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এস,এম চৌধুরী, কলমপতি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ক্যাজাই মারমা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বেতবুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ক্যজাই মারমা।
দীপংকর তালুকদার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পার্বত্য রাঙ্গামাটির মানুষকে ভালোবাসে বলেই আমাকে পদ দিয়েছে। কিন্তু আমি মনে করি শেখ হাসিনা পার্বত্য রাঙ্গামাটি বাসীকে উপহার দিয়েছে। এই পদ আমি পার্বত্য মানুষের উন্নয়নের জন্য কাজে লাগাবো। দলীয় ফোরামের মিটিং আমি রাঙ্গামাটিবাসী নয় পুরো পার্বত্য বাসীর জন্য কথা বলতো পারবো।
তিনি পার্বত্য অঞ্চলের অবৈধ অস্ত্রের কথা তুলে ধরে বলেন, পার্বত্য অঞ্চলে পাহাড়ী বাঙ্গালী কেউ শান্তিতে নেই। পার্বত্য অঞ্চলের মানুষে অবৈধ অস্ত্রধারীদের হাতে জিম্মি হয়ে আছে। এই জিম্মি দশা থেকে মুক্ত হতে আমাদেকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। শুধু প্রশাসনের দিকে চেয়ে থাকলে হবে না। প্রশাসনের পাশাপাশি সামাজিক আন্দোলনের মাধ্যমে অবৈধ অস্ত্রধারীদের বিরুদ্ধে সকলকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করার আহবান জানান।
এর আগে দীপংকর তালুকদার যখন কাউখালী এসে পৌছান তখন হাজার হাজার নেতাকর্মী তাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান। কাউখালীর প্রবেশ মুখ থেকে মোটর সাইকেল শোভাযাত্রা সহকারে তাকে কাউখালী নিয়ে আসেন। পরে তাকে ফুলের শুভেচ্ছা দেন।