॥ বাঘাইছড়ি সংবাদাদাতা ॥ সাবেক পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য দীপংকর তালুকদার বলেছেন, পার্বত্য শান্তিচুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নের প্রধান বাধা হচ্চে অবৈধ অস্ত্র। আওয়ামীলীগ সরকার পার্বত্য এলাকায় বসবাসরত মানুষের শান্তি ও কল্যাণের কথা চিন্তা করে শান্তিু চুক্তি করেছে। আঞ্চলিক দলগুলোর অবৈধ অস্ত্রের কারণে এগুলো বিলম্ব হতে বাধ্য হচ্ছে। তিনি বলেন, পাহাড়ে উচ্চ শিক্ষার উন্নয়নে জননেত্রী শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় রাঙ্গামাটিতে স্থাপন করেছে। কিন্তু তারা চাইনা এ অঞ্চলের ছেলে মেয়েরা উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হউক। এক কথায় তারা চাইনা পাহাড়ের মানুষের সার্বিক উন্নয়ন। সর্বক্ষেত্রে অবৈধ অস্ত্রের মাধ্যমে মানুষের কল্যান ও উন্নয়নে তারা বাধা সৃষ্টি করে স্বাভাবিক জীবনকে অস্বাভাবিক করে রেখেছে। তিনি বলেন, সন্ত্রাসীদের কোন জাতপাত নেই। সে যে জাতি যে গোষ্টী যে দলেরই হোকনা কেন সকল সম্প্রদায়কে ঐক্যভাবে এদের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে
শুক্রবার (২৫নভেম্বর) বিকেলে রাঙ্গামাটি বাঘাইছড়ি উপজেলায় দীপংকর তালুকদারকে আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য করায় বাঘাইছড়ি উপজেলা শাখা আওয়ামীলীগের উদ্যোগে গণ সংবর্ধনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও বাঘাইছড়ি উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বৃষ কেতু চাকমার সভাপতিত্বে বাঘাইছড়ি উপজেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয় প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত সংবর্ধনায় আরো বক্তব্য রাখেন, মহিলা সংসদ সদস্য ফিরোজা বেগম চিনু, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ সদস্য ও জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি হাজী কামাল উদ্দিন, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী মুছা মাতব্বর, সাংগঠনিক সম্পাদক জ্যোতির্ময় চাকমা কেরোল, জেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম, জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য জাফর আলী খান, জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক উদয় শংকর চাকমা, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নূর মোঃ কাজল, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য মোঃ শাহজাহান, বাঘাইছড়ি উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি হাজী আব্দুস শুক্কুর, প্রিয়নন্দ চাকমা, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক অমলেন্দু চাকমা, গিয়াস উদ্দিন, আইন বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ চাকমা’সহ বাঘাইছড়ি উপজেলা আওয়ামীলীগ সহযোগী ও অঙ্গ সঙ্গঠনের নের্তৃবৃন্দরা। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন বাঘাইছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলী হোসেন।
সভায় দীপংকর তালুকদার আরো বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কণ্যা বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় কমিটিতে আমাকে নির্বাচিত করেনাই করেছে আপনাদেরকে। পার্বত্য এলাকার মানুষের প্রতি তার আন্তরিকতার অভাব নেই। তিনি বলেন, সম্প্রতি ভিডিও কনফারেন্সে পার্বত্যবাসীকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি তিনি ২৪ঘন্টা পেরুতে না পেরুতেই পূরণ করেছেন। পার্বত্য অঞ্চলের সার্বিক উন্নয়নেও তিনি সবসময় আন্তরিক। ২০১৯ সালের জাতীয় নির্বাচনে নৌকা প্রতিকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করে রাঙ্গামাটির আসনটি তাকে উপহার দেওয়ার জন্য তিনি সকলকে আহ্বান জানান।
সভায় সংসদ সদস্য ফিরোজা বেগম চিনু বলেন, আওয়ামীলীগ রাজনীতির সাথে যারাই যুক্ত তারা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে বিশ্বাসী এবং তারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের পথে চলে। তারা গন মানুষের কথা বলে। তিনি বলেন, আওয়ামীলীগের ক্রমবর্ধন জনপ্রিয়তা এমনি এমনি বাড়েনি বেড়েছে তাদের সুকর্মের ফলে। এই কর্মগুলোর কথা তৃণমূল পর্যায়ের মানুষের কাছে তুলে ধরতে তিনি নেতাকর্মীদের আহ্বান জানান।
সভায় রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে মনে ধারণ করে নেতাকর্মীদের আগামী বাঘাইছড়ি পৌরসভা ও ২০১৯সালের জাতীয় নির্বাচনে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। নেত্রী ও নেতাকর্মীরা নির্বাচনে যাকেই যোগ্য প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত করবে তার পক্ষে কাজ করারও আহ্বান জানান তিনি।