৭ নভেম্বরের ‘ইতিহাস বিকৃত’ করছে সরকার: ফখরুল
সোমবার দিবসটি উপলক্ষে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও নেতাকর্মীদের সঙ্গে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ফখরুল।
তিনি বলেন, “১৯৭৫ সালের এই দিনে স্বাধীনতাকামী সৈনিক, জনগণ ঐক্যবদ্ধ হয়ে সামাজ্যবাদ, আধিপত্যবাদ এবং সকল ষড়যন্ত্রকে রুখে দিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো দেশের স্বাধীনতাকে সুসংহত করেছিলেন। সেদিন থেকেই আধুনিক বাংলাদেশের নতুন একটি অধ্যায় শুরু হয়েছিল।
“শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন, উন্নয়ন ও উৎপাদনের রাজনীতিকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন, একটি স্বাধীন স্বাতন্ত্র জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছিলেন।”
১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারের নিহত হওয়ার পর সেনাপ্রধানের দায়িত্বে আসেন জিয়াউর রহমান। এরপর মুক্তিযুদ্ধে অন্যতম সেক্টর কমান্ডার খালেদ মোশাররফের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীতে একটি অভ্যুত্থান হয়, জিয়া হন গৃহবন্দী।
পরে ৭ নভেম্বর মুক্তিযুদ্ধের আরেক সেক্টর কমান্ডার কর্নেল তাহেরের নেতৃত্বে পাল্টা অভ্যুত্থানে মুক্ত হন জিয়া। এর মধ্য দিয়ে ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসেন জিয়া।
বিএনপি এই দিনকে ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’, আওয়ামী লীগ ‘মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যা দিবস’ এবং জাসদ ‘সিপাহী-জনতার অভ্যুত্থান দিবস’ হিসেবে পালন করে।
ফখরুল বলেন, “অত্যন্ত দুঃখের কথা ক্ষমতায় আসার পর আওয়ামী লীগদিনটিকে সবসময় অবমূল্যায়ন করেছে। শুধু তাই নয়, ইদানিংকালে তারা তাদের বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে এদিন সম্পর্কে বিকৃত ইতিহাস বর্ণনা করছে। আমরা মনে করি, এটা শুধুমাত্র বাংলাদেশ জাতির যে স্বাধীন অস্তিত্ব এবং তার স্বাধীন স্বাতন্ত্র অবস্থানের যে সংগ্রাম, সেই সংগ্রামকে ব্যাহত করবে।”
এর আগে সকাল সাড়ে ১১টায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা জিয়ার কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। পরে সেখানে দোয়া হয়।
মঙ্গলবার নয়া পল্টনে সমাবেশের অনুমতি পাওয়ার আশা প্রকাশ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “আমরা মনে করব, সরকারের শুভবুদ্ধির উদয় হবে এবং তারা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া চালু রাখতে আমাদের যে গণতান্ত্রিক অধিকার, তা প্রয়োগ করার সুযোগ আমাদেরকে দেবে, আমরা একটা জনসভা করার অনুমতি পাব।”
সমাবেশের অনুমতি চেয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের কাছে দেওয়া চিঠি সম্পর্কে তিনি বলেন, “আমরা অনুমতি চেয়ে চিঠি দিয়েছি। ডিএমপি কমিশনার যে মিথ্যা কথা বলেছেন, এটা প্রমাণিত হয়ে গেছে।”